১৯শে মার্চ শনিবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশী সাংবাদিকদের প্রাচীনতম ও বৃহৎ সংগঠন
দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি,টাইম টিভির সিইও আবু তাহের ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার ইসলাম। নিউইয়র্কের গুলশান টেরেসে আড়ম্বরপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন ডেমোক্রেট দলীয় কংগ্রেসম্যান গ্রেস মেং।বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন লুই, নিউইয়র্ক সিটির কম্পট্রলার ব্রেড লেন্ডার,সিটি এস্বেলীম্যিন ব্রাউন ব্রাউনয়েল ।
কী-নোট স্পীকার ছিলেন এ্যামি এওয়ার্ড প্রাপ্ত সাংবাদিক স্পেকট্রাম নিউজের এসাইনমেন্ট এডিটর রাসেল বুম। অনুষ্ঠানে রাজনীতিক, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী, শিল্পী, সাহিত্যিক এবং কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধি।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো দুইজন বরেণ্য ব্যক্তিত্বকে এওয়ার্ড প্রদান। প্রবীণ সাংবাদিক ও ক্লাবের উপদেষ্টা নিনি ওয়াহেদ পেলেন ফজলে রশীদ সম্মাননা এওয়ার্ড । অপরজন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী পেলেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা বা প্রেসক্লাব এপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড।
অনুষ্ঠানে ফাজলে রশীদ সম্মাননা প্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ অনুপস্থিত থাকায় তাঁর সম্মাননা পরবর্তীতে পৌছে দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
জাতিসংঘ এবং হোয়াইট হাউসে প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র বাংলাদেশী সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর নিকট এওয়ার্ড তুলে দেন স্টেট সিনেটর জন লুই, এ্যামি এওয়ার্ড প্রাপ্ত সাংবাদিক স্পেকট্রাম নিউজের এসাইনমেন্ট এডিটর রাসেল বুম, সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার ইসলাম এবং অভিষেক উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসানসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা। এসময় তার সাহসী সাংবাদিকতার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে সাইটেশন পাঠ করেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি শেখ সিরাজ।
এওয়ার্ড গ্রহণ করে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা বাংলাদেশে গভীর সংকটের মুখে। আন্তর্জাতিক সূচকে ১৮২ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫২তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন । শুধুমাত্র সাংবাদিকতার কারণে সাংবাদিক সম্পতি সাগর-রুনিকে জীবন দিতে হয়েছে উল্লেখ করে প্রাপ্ত এওয়ার্ড তাদের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করেন মুশফিকুল ফজল আনসারী।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি বক্তব্য রাখেন আবু জাফর মাহমুদ, শাহ নেওয়াজ ও অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের অন্যতম উপদেষ্টা মঈনুদ্দীন নাসের, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা সম্পাদক ইব্রাহীম, চৌধুরী খোকন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী বেবী নাজনীন, সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, অ্যাসালের চেয়ারম্যান মাফ মিসবাউদ্দিন, বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার আব্দুর রহীম হাওলাদার, সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ ও কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার মোহাম্মদ আলী, ডা. বর্ণালী হাসান, রাজনীতিক জসিম ভুইয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরুল আজীম, রাইটস ফোরাম অফ নর্থ আমেরিকার সভাপতি হাফেজ আব্দুল্লাহ আল আরিফ, আশা হোম কেয়ারের সিইও আকাশ রহমান, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, মোহাম্মদ জয় চৌধুরী, মাজেদা উদ্দিন,সাইফুর খান হারুন ও আবুল কাশেম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান ও সাবেক সহ সভাপতি তাসের মাহমুদ, বিশিষ্ট রাজনীতিক জিল্লুর রহমান জিল্লু, মিজানুর রহমান ভুইয়া মিল্টন, সাখাওয়াত হোসেন আজম, আব্দুর রহমান, আবু তালেব চান্দু, মাকসুদ চৌধুরী, আতিকুল হক আহাদ, টিভি ব্যক্তিত্ব ও সিনিয়র সাংবাদিক সাঈদ তারেক, সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, সাপ্তাহিক আজকাল-এর সম্পাদক জাকারিয়া মাসুদ জিকো, সাপ্তাহিক দেশ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংবাদিক ড. কনক সারওয়ার, এনসিএন টিভির পরিচালক জাহিদ খান এবং হেড অব নিউজ আবিদুর রহীম, চ্যানেল টিটির সিইও এবং নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিবলী চৌধুরী, নিউইয়র্ক বাংলা সম্পাদক আকবর হায়দার কিরণ, দৈনিক নয়া দিগন্তের বিশেষ প্রতিনিধি ইমরান আনসারী, সাপ্তাহিক মুক্তচিন্তা সম্পাদক ফরিদ আলম, একুশে টিভির নিউইয়র্ক প্রতিনিধি মাসুদুল কবির, ভোরের কাগজের নিউইয়র্ক প্রতিনিধি শামীম আহমেদ, বিএনিউজ.কম সম্পাদক মমিন মজুমদার, ইয়র্ক বাংলার সম্পাদক রশীদ আহমদ, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির প্রতিনিধি এসএম সোলায়মান, নিউজবিডিইউএস সম্পাদক এস এম জাহিদুর রহমান, আওয়াজবিডি.কম সম্পাদক শাহ আহমেদ, বাংলানিউজ সম্পাদক শেখ এম খুরশান, ফটো সাংবাদিক সানাউল হক, বিডি নিউজের শাহ ফারুক এবং জেমিনি ও পরিবর্তন সম্পাদক বেলাল আহমেদ।
এছাড়া উল্লেখযোগ্য সাংবাদিকদের মধ্যে কাজী জেসীন, মাঈন উদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ সুজাত আলী,হাবিবুর রহমান,মাহাথির খান ফারুকী, রহমান মাহবুব, আবিদুর রহমান, মনিজা রহমান, রওশন হক, এইচ বি রিতা, এমদাদ হোসেন চৌধুরী দীপু, আজাদ আহমেদ, সামিউল ইসলাম, সোহেল হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।