মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
প্রেমের টানে গাজীপুরে এসে বিয়ের পিড়িতে আমেরিকান যুবক
প্রেমের টানে গাজীপুরে এসে বিয়ের পিড়িতে আমেরিকান যুবক

প্রেমের টানে গাজীপুরে এসে বিয়ের পিড়িতে আমেরিকান যুবক

প্রতিষিদ্ধ প্রতিবেদক
প্রকাশের সময় : June 04, 2022 | গণযোগাযোগ ও গণতন্ত্র

প্রেমের টানে হাজারো মাইল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে রাইয়ান কফম্যান। যুক্তরাষ্ট্রের এই যুবক ২৯ মে ঢাকায় আসেন। গাজীপুরের মেয়ে সাইদা ইসলামের কাছে এসেছেন তিনি । সাইদা ইসলাম (২৬) গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেন মাস্টারের নাতনী ও মৃত সিকান্দার আলীর মেয়ে। ঢাকার দনিয়া এলাকার বাসিন্দা সিকন্দার আলী ২০১৯ সালে মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর মা ও তার ছোট বোনকে নিয়ে সাইদা চলে আসেন গাজীপুরে নানা মোশারফ হোসেন মাস্টারের বাসায়। এখানেই এখন তারা বসবাস করছেন। বাবা মারা যাওয়ার এক বছর পর ২০২০ সালে মানবিকে স্নাতক করেন সাইদা। রাইয়ান আমেরিকার নিজ এলাকায় একটি প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানায় অপারেটর পদে কাজ করেন। লেখাপড়া মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত। তার মা-বাবা ছাড়াও এক বড় ভাই রয়েছেন। তারা সেখানে প্রত্যেকেই আলাদাভাবে বসবাস করেন।সাইদা জানান, ২০২১সালে এপ্রিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রথম পরিচয় রাইয়ান কফম্যানের সঙ্গে। তারা নিজেদের ফোন নম্বর ও এড্রেস বিনিময় করেন। এরপর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হতো তাদের মধ্যে। ফেসবুক ও ফোন নম্বরে ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে নিজেরা আরও ঘনিষ্ঠ হন। এভাবে কথা বলতে বলতে দুইজন দুইজনকে ভালোবেসে ফেলেন। প্রায় এক বছর তারা ফেসবুকেই চুটিয়ে প্রেম করেন। এভাবে ব্যক্তি সম্পর্ক পারিবারিক সম্পর্কে রূপ নেয়।শেষে দু’জনে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। রাইয়ান বিয়ে করার জন্য তার দেশেই খৃষ্ট ধর্ম ত্যাগ করে যথানিয়মে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে তার ও সাইদার পরিবারের সম্মতিতে গত ২৯ মে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে পৌঁছান তিনি। এদিনই দুইজনের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়।তারপর সেখান থেকে সাইদার সঙ্গে সোজা গাজীপুরে নানার বাড়িতেই ওঠেন রাইয়ান কফম্যান। পরে সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন তারা। বাংলাদেশে এসে খুব ভালো লাগছে জানিয়ে রাইয়ান বলেন, বাঙ্গালীরা খুবই অতিথি পরায়ণ। আমেরিকায় অচেনাদের সঙ্গে কেউ খুব একটা কথা বলে না। কিন্তু বাংলাদেশে আসার পর দেখছি আমার প্রতি সবাই খুবই আন্তরিক। সাইদাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে রাইয়ান বলেন, আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র ভিসা প্রসেসিং করতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। এসব সম্পন্ন হলেই সাইদাকে আমেরিকা নিয়ে যাবেন।