বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পুনর্বিবেচনা না করলে আবাসন শিল্পে সংকট তৈরি হবে
প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পুনর্বিবেচনা না করলে আবাসন শিল্পে সংকট তৈরি হবে

প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পুনর্বিবেচনা না করলে আবাসন শিল্পে সংকট তৈরি হবে

প্রতিষিদ্ধ প্রতিবেদক
প্রকাশের সময় : June 18, 2022 | বাজেট

প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট (২০২২-২০২৩) পুনর্বিবেচনা না করলে আবাসন শিল্পে বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে বলে আশংকা করছে রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর নেতৃবৃন্দ। ১৮ জুন, শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল এ ঘোষিত জাতীয় বাজেট ২০২২-২০২৩ সম্পর্কিত রিহ্যাব এর প্রতিক্রিয়া শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন (কাজল) লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান। একই সাথে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটের ন্যায় অপ্রদর্শিত অর্থ বিনাপ্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখার দাবি জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্তেখাবুল হামিদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রথম) কামাল মাহমুদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট-২ নজরুল ইসলাম (দুলাল), ভাইস প্রেসিডেন্ট-৩ লায়ন শরীফ আলী খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা এবং পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকবৃন্দসহ বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট ব্যাবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। অর্থনীতিতে আবাসন শিল্পের বিভিন্ন অবদান তুলে ধরে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের বেসরকারী উদ্যোক্তাদের একান্ত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা এ খাত সম্প্রতি নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার সম্মূখীন। উদীয়মান এই খাতে নানা রকম কর আরোপ ও সরকারের নীতি সহায়তার অভাবে ক্রমে দেশের আবাসন খাত মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পতিত হয়েছে। কোভিড মহামারির ধাক্কা, নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি, মানুষের সামর্থ্যরে মধ্যে মাসিক কিস্তি সুবিধা দেয়ার মত এই খাতে পর্যাপ্ত আর্থিক ঋণ প্রবাহ না থাকায় অনেকের বাসস্থানের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। একের পর এক সমস্যা এই শিল্পকে সংকটে ঠেলে দিচ্ছে। এই অবস্থায় সরকারের আশু পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই সংকট উত্তরণ অসম্ভব। নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি সহ নানা কারণে সমগ্র গৃহায়ন খাতের বিক্রয় পরিমাণ প্রায় হ্রাস পেয়েছে। এই মুহূর্তে যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, তবে দেশের অর্থনীতিতে এর একটা বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমাদের শংকা। আলমগীর শামসুল আলামিন (কাজল) বলেন “রিহ্যাব এর বাজেট প্রস্তাবনায় আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে ছিলাম স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনাপ্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখা। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বিনাপ্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অর্থনীতির মূল ধারায় এসেছে। সরকার ২ হাজার কোটি টাকার উপরে রাজস্ব পেয়েছে। গেল এক বছরে সুইচ ব্যাংকে বাংলাদেশীদের টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৫শতাংশ। গত বাজেট অনুমোদনের পর অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগ সম্পর্কে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যার অভাবে দেশে বিনিয়োগ কম হয়েছে। স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনাপ্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে একটা ভালো সুফল আসবে। স্ব স্ব দেশ বৈদেশিক মুদ্রা কিভাবে দেশের ভেতরে রাখা যায় তার ব্যবস্থা করছে। কাজেই আমরা এই অবস্থায় যদি অপ্রদর্শিত অর্থ পাচারের সুযোগ না রেখে মূল ধারার অর্থনীতিতে নিয়ে আসতে পারি তবে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং আসন্ন সংকট মোকাবেলা করা সহজ হবে।”

ঘোষিত বাজেটে পাচারকৃত টাকা দেশে আনার বিষয়ে আইন করা হয়েছে, এটিকে সাহসী পদক্ষেপ উল্লেখ করে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, দেশ থেকে যাতে টাকা পাচার না হয়, সেদিকেই আমাদের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।
 


পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ