শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
১০ দিনে সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে  শতাধিক পরিবার
১০ দিনে সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে শতাধিক পরিবার

১০ দিনে সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে শতাধিক পরিবার

প্রতিষিদ্ধ প্রতিবেদক
প্রকাশের সময় : June 29, 2022 | রংপুর

নদী পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে এক আতঙ্কের নাম ভাঙ্গন। দেশে প্রতিবছরই বিস্তীর্ণ এলাকা নদীভাঙ্গনের শিকার হয়। এতে বসতভিটা জায়গা-জমি সব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে হাজার হাজার পরিবার। রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ভাঙ্গনে ইতিমধ্যে অনেকেই ভিটামাটি হারিয়ে হয়েছে আশ্রয়হীন।  

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপদ সীমার নিচে নামার সাথে সাথে উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের গুনভরির বানিয়া পাড়া এলাকায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন। গত ১০ দিনে প্রায় শতাধিক পরিবার ভিটামাটি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস শুরু করেছে। 

সরেজমিনে উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদী পাড়ের মানুষগুলো ভাঙ্গন কবলের হাত থেকে বাঁচতে ঘরবাড়িসহ মূল্যবান জিনিস পত্র সরিয়ে নিচ্ছে অনত্র। ইতোমধ্যে অনেকেই ভিটেমাটি হারিয়ে এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন বাঁধসহ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। ভাঙ্গনের তীব্রতা এতটাই যে, আগামী দুই এক দিনের মধ্যে ভাঙ্গন রোধে কার্যক্রম শুরু না হলে এক সময় এই এলাকাটি উড়িয়া ইউনিয়নের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।

ঐ এলাকার বাসিন্দা রহিম মিয়া আক্ষেপের সুরে বলেন, হামার বাড়িঘর নদীর পেটোত চলি গেইছে। প্রতিদিন এই এলাকার অনেক মানুষের সব কিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস শুরু করেছে। আমার বাপ-দাদার ভিটা ইতিমধ্যে এই রাক্ষুসী নদীর পেটে চলে গেছে। আমি বর্তমানে অন্যের জায়গায় বাড়ী করে বসবাস করছি।  রহিম মিয়ারমত বয়োবৃদ্ধা আছিরন বেওয়া বলেন, মোর একখান বাড়ী আছিল, এখন আর নাই বাহে। এই নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে মোর শেষ সম্বলটাও নিয়া গেছে। আরও কত মাইনষের বাড়ী ঘর এই রাক্ষুসী গিলে খাইলে হামার এতি কাজ হবে। 

এদিকে নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জি এম সেলিম পারভেজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইতোমধ্যে এই ভাঙ্গনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগনকে অবগত করা হয়েছে। তারা দুই তিনদিনের মধ্যে ভাঙ্গনরোধে কার্যক্রম শুরু করবেন বলে আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন।