শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
টাকা ছাড়া কোন বিল সই করেন না ইঞ্জিনিয়ার ফিরোজ
টাকা ছাড়া কোন বিল সই করেন না ইঞ্জিনিয়ার ফিরোজুর রহমান 

টাকা ছাড়া কোন বিল সই করেন না ইঞ্জিনিয়ার ফিরোজ

প্রতিষিদ্ধ প্রতিবেদক
প্রকাশের সময় : August 17, 2022 | অপরাধ

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী (অঃদাঃ)ফিরোজুর রহমান ফুলছড়ি উপজেলায় যোগদানের পর থেকে উন্নয়ন কাজের প্রাক্কলন প্রণয়নে, প্রকল্প বাস্তবায়নে, এডিপির প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ, স্বেচ্ছাচারিতা, নথি স্বাক্ষরের দীর্ঘসূত্রতা, হয়রানী ও অসদাচরণ করে আসছেন। ঘুষের টাকা না দেওয়া পর্যন্ত কোন বিলপত্রে/কাগজে স্বাক্ষর করেন না। কোন কাজে বার বার ফোন দিলে তিনি ঠিকাদারদের ফোন রিসিভ করেন না। তাঁর এমন অসদাচরণ, দূর্নীতি, ঘুষ ছাড়া নথি ছাড়,টাকার বিনিময়ে স্ক্রীম পরিবর্তন,পরিবর্ধন এবং স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে ঠিকাদাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, বিভিন্ন স্কুলে টেন্ডারে অনিয়ম করে তাঁর পছন্দের ঠিকাদারকে টাকার বিনিময়ে কাজ পাইয়ে দেন। 

তিনি চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন ইউনিয়নে করোনা ভাইরাস মোকাবেলার জন্য চার লক্ষ বিরানব্বই হাজার টাকা কোন প্রকার করণা সামগ্রী না দিয়েই বিল তুলে নেন। অফিসের আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য  এক লক্ষ টাকার কোন প্রকার কাজ না করে বিল তুলে নেন।অফিসের কম্পিউটার ও কম্পিউটার মেরামত বাবদ এক লক্ষ টাকা ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে টাকাতুলে নেন। অফিসের মোটরসাইকেল মেরামত ও তেল বাবদ দুইবারে ৩০+৩০= ৬০ হাজার টাকার ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে টাকা তুলে নেন। অফিসের আনুসঙ্গিক বিল বাবদ আড়াই লক্ষ টাকার ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে টাকা তুলে নেন।

অফিস চলাকালীন সময়ে অফিসিয়াল পোশাক না পড়ে নিয়ম না মেনে নিজের পছন্দমত টিশার্ট (গেঞ্জি) পরিধান করে অফিস করেন। যার কারণে গত দুই মাস আগে ফজলুপুর ইউনিয়নে এলজিইডি’র গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম  বিষয়টি নিয়ে তাকে ধমক দেন। এদিকে ফুলছড়িতে ৩ জন উপসহকারী প্রকৌশলী থাকলেও উপজেলা প্রকৌশলী তাঁর পছন্দমত উপসহকারী প্রকৌশলী  দিয়ে বিভিন্ন কাজের প্রাক্কলন করান। প্রকৌশলী প্রকল্পের কাজ শেষে শুধু ইঞ্জিনিয়ারদের কাছ থেকে স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। ঠিকাদাররা ৫% হারে পিসির (ঘুষ)টাকা দিতে গড়িমসি করলে ইঞ্জিনিয়ার তার লোক দ্বারা বিলের টাকা উত্তোলন করে পিসির টাকা কেটে নিয়ে ঠিকাদারদের নগদ টাকা পেমেন্ট করেন। উপজেলা প্রকৌশলী ফিরোজুর রহমান তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারদের  অভিযোগগুলো সঠিক নয়। আসলে অফিসে মিষ্টিমুখ কারা আর কাগজ পত্র কেনার জন্য কিছু টাকা নেয়া হয়। ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন  বলেন,একজন উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ শুনে খুবই আশ্চর্য্য হলাম। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।