বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
পানি বণ্টন চুক্তি না হওয়ায়  ক্ষুব্ধ তিস্তা পাড়ের  ১০ লাখ মানুষ 
পানি বণ্টন চুক্তি না হওয়ায়  ক্ষুব্ধ তিস্তা পাড়ের  ১০ লাখ মানুষ 

পানি বণ্টন চুক্তি না হওয়ায়  ক্ষুব্ধ তিস্তা পাড়ের  ১০ লাখ মানুষ 

মোঃ মামুনুর রশিদ মিঠু
প্রকাশের সময় : September 08, 2022 | সমস্যা ও সম্ভাবনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে কুশিয়ারা নদীসহ সাতটি সমঝোতা চুক্তি সাক্ষরিত হলেও, তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি না হওয়াতে তিস্তা পাড়ের অনন্ত ১০ লাখ মানুষ হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন, পানি বন্টন চুক্তি অনিশ্চয়তার মাঝে পড়ায় ঘুঁচলোনা তাদের দুঃখ দুর্দশা। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কুশিয়ারা নদীর পানি বন্টনসহ সাতটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে অথচ বহুল আলোচিত তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি না হওয়ায় হতাশ এবং ক্ষুব্ধ তিস্তার দুই পাড়ের অন্তত ১০ লাখ মানুষ।
তবে আবারো দু’দেশ আলোচনার ভিত্তিতে দীর্ঘদিনের বেদনাদায়ক এ অধ্যায়ের অবসান ঘটবে এমন প্রত্যাশা এখনও রয়েছে তাদের।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪ টি আন্তর্জাতিক নদী রয়েছে। বিভিন্ন সময় ভারত তাদের দেশের উন্নয়নের কথা বলে ৫২ টি নদীতেই বাঁধ নির্মাণ করায় এ দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।
শুষ্কমৌসুমে ভারত এসব নদীর পানি একতরফা ভাবে প্রত্যাহার করে নিয়ে বাংলাদেশকে প্রকৃত অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আসছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে তিস্তার করাল গ্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তিস্তা পাড়ের লাখ লাখ মানুষ। তারা সহায় সম্বল হারিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
শুধু তাই নয় বর্ষামৌসুুম এলেই ভারত নিয়ন্ত্রিত গজলডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দিয়ে পানিতে নিমজ্জিত করে রাখে নদী তীরবর্তী এলাকার লাখ লাখ মানুষের ঘড়বাড়ি ও ফসলের মাঠ।
তিস্তাপাড়ের ভুক্তভোগী মানুষজন বলছেন, যখন পানি চাইনা তখন আমাদের ভাসিয়ে দেওয়া হয়। আর শুষ্ক মৌসুমে যখন পানির প্রয়োজন তখন গজলডোবা ব্যারেজের সব গেট বন্ধ রেখে পানি নিয়োন্ত্রন করা হয়। আর এ কারনেই বিপর্যয়ে শুধু এখানকার মানুষ নয়, প্রতি বছর সরকারের শত শত টাকার বিভিন্ন স্থাপনাও হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এখানকার মানুষেরা।
তিস্তাপাড়ের একাধিক লোক বোলছেন, আসায় ছিলাম প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের মধ্য দিয়ে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সুরাহা করা হবে কিন্তু সেই আসা এখন দুরাশায় পরিণত হয়েছে। এদিকে আন্তর্জাতিক বিষয় হওয়ায় এবিষয়ে সরকারের কোনো পদস্থ কর্মকর্তা বক্তব্য দিতে রাজি নন।

এবিষয়ে আহ্বায়ক নদী বাঁচাও আন্দোলনের সিনিয়র সহ-সভাপতি গেরিলা লিডার ড. এস এম শফিকুল ইসলাম কানু বলেন, সরকারের যে কোন জটিলতার কারনে এ দফায় পানি বন্টন চুক্তি হয়নি। তবে আমরা আশাবাদী সরকার এ অঞ্চলের মানুষের  দীর্ঘ দিনের চাওয়া পূরণ করতে অবশ্যই দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন। আর দ ‘দেশ আলোচনার ভিত্তিতে পানি বন্টন চুক্তিটি পুনরায় বিবেচনা করাবেন দ্রুত এমন দাবি জানিয়েছেন তিস্তাপাড়ের অসহায় মানুষজন।


পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ