আনভীর চেয়েছিল গোপন থাকুক, কারণ তার মনের মধ্যে তো মুনিয়ার জায়গা ছিল না
মুনিয়ার বাবা সম্মানিত মানুষ ও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কুমিল্লাতে সবাই তাকে চেনে, এবং মুনিয়ার মাও একজন ভালো মানুষই ছিলেন। তারা আজ নেই। যতদিন তারা বেঁচে ছিলেন বলা যায় সুন্দর ভাবেই চলছিল তাদের পরিবার।
মুনিয়ারা ২ বোন এক ভাই। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর মূলত মুনিয়া তার মত করে চলতে শুরু করে। ভাইয়ের সংসার আছে, আছে বোনেরও। তারাও তাদের নিজেদের মত করেই চলে। অভিভাবক না থাকলে যা হয় তাই হয়েছে মুনিয়ার বেলায়। দেখতে সুন্দর, অল্প বয়স, রঙ্গিন স্বপ্নে বিভোর বাচ্চা মেয়েটি বুঝতেই পারেনি বাস্তবতা কতটা ভয়ঙ্কর।
উচ্চ আখাঙ্খা তো ছিল, আর এই সুযোটাই কাজে লাগিয়েছে আনভীর। যাকে বলে প্রেম প্রেম খেলা। মুনিয়া বুঝতেই পারেনি ।
ভেবেছে তাকে আনভীর ভালোবাসে। ভিডিও ক্লীপ আনভীরের মুখের যে ভাষা শুনা গেছে তাতেই বুঝা যায় কতটা হিনমন্যতার মানুষ সে। এদের কাছে টাকা ছাড়া আর সবকিছুই খেলা। কিশোরী বয়সে যা হয় মুনিয়ার তাই হয়েছে।
কিছুদিন আগে মুনিয়ার বাসায় পার্টি হয়, সেখানে আনভীরের সাথে কিছু ছবি মুনিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়। এটা নিয়েই নাকি মনোমালিন্য শুরু। কারন এইসব ছবির কারনে তাদের সম্পর্ক অনেকটাই প্রকাশিত হয়ে যায়। আনভীর চেয়েছিল গোপন থাকুক, কারণ তার মনের মধ্যে তো মুনিয়ার জায়গা ছিল না। মেয়েটি ছিল তার কাছে খেলনা মাত্র। তাই সে সুযোগ খুজতে থাকে কিভাবে মুনিয়াকে এড়িয়ে যাওয়া যায়। মুনিয়ার অনলাইনে তাদের ছবি আপলোড দেয়ার ফলে আনভীরের বাসায় তার স্ত্রী হয়ত সবকিছু জেনে গেছে এবং তাকে চাপের মুখে রেখেছে যার ফলে সে একটা বাহানা ধরে মুনিয়ারকে অপমান করেছে ,যা মেয়েটা মেনে নিতে পারেনি, তবে এ ধারনা ভুলও হতে পারে। তবে এমনটাই হয়েছে। মামুনুলের বেলায়ও দেখা গেছে ঝর্নার সাথে ধরা পড়ার পর বউকে ফোন করে বলেছে মাঝখান দিয়ে তুমি আবার অন্যকিছু মনে করো না। আসলে বাহিরে যেসব পুরুষ সোজা
সোজা বাংলায় যাকে বলে লুচ্চিয়ামি করে বেড়ায় তারা সতর্ক থাকে যাতে বউ কিছু না জানে।
যাই হোক সত্যটা হচ্ছে মুনিয়া আর ফিরে আসবে না। এতে কি অন্য মেয়েরা শিক্ষা নিবে ?
মুনিয়াকে গালাগালি করে লাভ নেই। সে ভুল করতেই পারে। তার বয়সটাই ছিল ভুল করার বয়স। কিন্তু আনভীর একজন পরিপক্ক লোক , সে জেনেশুনেই প্রেম প্রেম খেলা খেলেছে। মেয়েটিকে ব্যবহার করেছে। ব্যবসায়ী মানেই খারাপ না, বড় লোক মানেই খারাপ না। এই ধারনা থেকে বের হয়ে আসা উচিত।