বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড সোনালীর জন্য বিরাট মাইলফলক
হোটেল সোনারগাঁও এ সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিট আয়োজিত অনুষ্ঠানে সোনালী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমানের হাতে এ পুরষ্কার  তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি

সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড সোনালীর জন্য বিরাট মাইলফলক

মীর রাশেদ বিন আমান, সিইও, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
প্রকাশের সময় : September 30, 2022 | বীমা

শ্রেষ্ঠ জীবন বীমা কোম্পানী হিসেবে সোনালী লাইফ ৪টি ক্যাটাগরীতে সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২ অর্জন করেছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর হোটেল সোনারগাঁও এ সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিট আয়োজিত অনুষ্ঠানে সোনালী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমানের হাতে এ পুরষ্কার  তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। এ সময় বিশিষ্ট শিল্পপতি মোরশেদ আলম এমপি, সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিটের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন আশা জয়ামানে উপস্থিত ছিলেন।  
 সোনালী লাইফের অর্জিত পুরস্কার সমূহ হচ্ছে, বেস্ট লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী ইন প্রাইভেট সেক্টর, সাস্টেনেবল ইনস্যুরেন্স কোম্পানী অব দা ইয়ার, বেস্ট সিইও অব দা ইয়ার ইন ইনস্যুরেন্স সেক্টর, আউট স্ট্যান্ডিং এইচ আর লিডার শীপ অব দা ইয়ার অর্জন করেন। সম্প্রতি সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি নিয়ে প্রতিষিদ্ধের সঙ্গে কথা বলেন মীর রাশেদ বিন আমান। 
মীর রাশেদ বিন আমান বীমা খাতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন তরুণ ও পেশাজীবী ব্যক্তিত্ব। তিনি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোং লিমিটেডের সিইও এবং বিগত ১৫ বছরে বীমা ও আর্থিক শিল্পে বেশ কয়েকটি সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি আগস্ট, ২০১৩ এ কোম্পানির সূচনা হওয়ার পর থেকে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাথে আছেন এবং সোনালী লাইফের বৃদ্ধি ও বিকাশের পিছনে ভূমিকা রেখে চলেছেন। সোনালী লাইফের সিস্টেম, উদ্ভাবন, শৃঙ্খলা, পরিষেবা এবং প্রক্রিয়া উন্নয়ন সফলভাবে কোম্পানিটিকে বাংলাদেশে একমাত্র সম্পূর্ণ অনলাইন, সমন্বিত এবং স্বচ্ছ জীবন বীমা কোম্পানিতে পরিণত করেছে। কোম্পানির ভিশন হল সার্ভিসিং সেক্টরে লিডার হওয়া। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহণের আগে, তিনি অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিএফও ছিলেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি সিডনি থেকে অ্যাকাউন্টিং এবং ম্যানেজমেন্টে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।

সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২ অর্জন প্রসঙ্গে মীর রাশেদ বিন আমান বলেন, এ অ্যাওয়ার্ড আমাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিরাট একটি মাইলফলক। একইসঙ্গে তিনি এ পদকের জন্য নির্বাচিত করায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন দেশে লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে সোনালী এখন একটি মডেল কোম্পানি। আজকের অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি আমাদের কর্মকর্তাদের পরিশ্রমের ফসল। আমি মনে করি এ ধরণের অ্যাওয়ার্ডের আরো আয়োজন হলে বীমাসহ বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাজে অনুপ্রাণিত হবে। মীর রাশেদ বিন আমান বলেন বলেন, এসবের মাধ্যমে বীমা সম্পর্কে মানুষের যে আস্থার সংকট, সেটা অনেকাংশে দূর হবে বলে আমি আশাবাদী।
 
মীর রাশেদ বিন আমান বলেন, বীমা দাবি পরিশোধ করাটা সোনালীর জন্য একটি যুগান্তকারী বিষয়। ২০২০ সালের প্রথম থেকে কয়েক মাস বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব যখন ছিল করোনায় জর্জরিত, লকডাউনে সব ধরনের অফিস-আদালত বন্ধ ছিল, গাড়ির চাকাও ঘোরেনি, সে সময় আমরা গ্রাহকদের যথাযোগ্য সেবা দিতে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়েছি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, কিছু কোম্পানির দাবি পূরণে দীর্ঘসূত্রতার কারণে ভালো কোম্পানিগুলোকে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আমি বলব সরকার ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে আরো কঠোর নজরদারি করে এ বিষয়ে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। 
মীর রাশেদ বিন আমান বলেন, বীমার অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এখনো সেই পর্যায়ে যেতে পারেনি। তবে বর্তমান সরকারের যে বিভিন্ন উদ্যোগ, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ও আইডিআরের (বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ) সমন্বয়ে প্রবাসীদের জন্য বীমা, শস্য বীমা, কৃষি বীমা, প্রতিবন্ধীদের জন্য বীমা, বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা এবং সর্বোপরি ব্যাংক ইন্টারেস্টসহ গৃহীত উদ্যোগ পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে আশা করছি বীমা শিল্প অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
মীর রাশেদ বিন আমান বলেন, বীমা শিল্পের উন্নয়নে সরকার বর্তমানে যে যুগোপযোগী পরিকল্পনাগুলো হাতে নেয়া হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন হলে আমি মনে করি, বীমা খাত আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে। স্বাস্থ্য বীমা, গ্রুপ বীমা, ব্যাংক ইন্স্যুরেন্স এগুলো বাস্তবায়নে সরকার যেভাবে মনিটরিং করছে, তাই আশা করা যায় সামনে বীমা খাতের ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। তবে দেশের জিডিপিতে বীমার অবদান বাড়াতে হবে। ভারতে বীমা শিল্প জিডিপিতে ৪ শতাংশ অবদান রাখছে। কিন্তু বাংলাদেশে সেটা মাত্র ১ শতাংশের কাছাকাছি। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের মধ্যে জিডিপিতে বীমা শিল্পের অবদান ৪ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা সে তুলনায় অনেক পেছনে রয়েছি। এ বিষয়ে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরকে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
 
মীর রাশেদ বিন আমান বলেন, সেবার মান আরো উন্নীত করতে হবে। বিশেষ করে জীবন বীমার সেবা ঠিকমতো দিলে মানুষ খুশি হয়। এ বীমা একদিকে যেমন মানুষের জীবন রক্ষা করে, অন্যদিকে তার সম্পদও সুরক্ষিত করে। তাই আমি বারবার জোর দিয়ে বলতে চাই, গ্রাহকের বীমা দাবি পরিশোধ করতে হবে। কোনো কোম্পানি যদি সময়মতো দাবি পরিশোধ না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বীমা শিল্পের ভবিষ্যত নিয়ে জানতে চাইলে মীর রাশেদ বিন আমান বলেন, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ধাপে ধাপে বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৫টি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে। এসব লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে একটি মার্কেট তৈরি হয়েছে। বর্তমানে আমাদের জনসংখ্যা, মাথাপিছু আয় ও শিক্ষার হার বেড়েছে। এজন্য আমি মনে করি, বীমা খাতের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ আছে।