বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
 সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড চাটার্ড লাইফের জন্য অসামান্য অনুপ্রেরণা
গত ২২ সেপ্টেম্বর হোটেল সোনারগাঁও এ সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিট আয়োজিত অনুষ্ঠানে চাটার্ড লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জিয়াউল হকের হাতে এ পুরষ্কার  তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি

সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড চাটার্ড লাইফের জন্য অসামান্য অনুপ্রেরণা

এস এম জিয়াউল হক,  সিইও- চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
প্রকাশের সময় : October 01, 2022 | বীমা

সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২ এ শ্রেষ্ঠ জীবন বীমা কোম্পানীর বেস্ট সিইও অব দা ইয়ার ইন ইনস্যুরেন্স সেক্টর অর্জন করেছে চাটার্ড লাইফ। গত ২২ সেপ্টেম্বর হোটেল সোনারগাঁও এ সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিট আয়োজিত অনুষ্ঠানে চাটার্ড লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জিয়াউল হকের হাতে এ পুরষ্কার  তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। এ সময় বিশিষ্ট শিল্পপতি মোরশেদ আলম এমপি, সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিটের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন আশা জয়ামানে উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি নিয়ে প্রতিষিদ্ধের সঙ্গে কথা বলেন এস এম জিয়াউল হক। 
এস এম জিয়াউল হক বীমা খাতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন তরুণ ও পেশাজীবী ব্যক্তিত্ব। বর্তমানে চার্টার্ড লাইফ উদ্ভাবনী পণ্য ও সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে বীমা খাতে কাজ করছে। জিয়াউল আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে (অ্যালিকো) একজন ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন যা বর্তমানে মেটলাইফ নামে পরিচিত। তিনি চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডে যোগদানের আগে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশনস) হিসেবে কাজ করেছিলেন। যেখানে তিনি গ্রুপ অপারেশন, দাবি ও গ্রাহক অভিজ্ঞতা, এবং আর্থিক পরিষেবা সরবরাহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ইনোভেশন অ্যান্ড অল্টারনেটিভ ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের (এডিসি) নেতৃত্বেও ছিলেন। চার্টার্ড লাইফ ব্যাংক, বীমা, টেলিকম, পাওয়ার, রিয়েল এস্টেট, ট্যুরিজম, প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, অবকাঠামো, কেমিক্যাল, রেডিমেড গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানীর সাথে কাজ করে। চার্টার্ড লাইফ দেশের সর্বাধিক মানুষের জীবন বীমা ও জীবনধারা নিরাপদ করার স্বপ্ন নিয়ে তার ব্যবসা শুরু করে। বিশ্বব্যাপী মানসম্মত পরিষেবার সঙ্গে সব শ্রেণীর মানুষের কাছে তাদের জীবন আর্থিকভাবে সুরক্ষিত নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাত্রা শুরু করে চার্টার্ড।
 
সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২ অর্জন প্রসঙ্গে এস এম জিয়াউল হক বলেন, এ অ্যাওয়ার্ড আমাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিরাট একটি মাইলফলক। একইসঙ্গে তিনি এ পদকের জন্য নির্বাচিত করায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন দেশে লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে চাটার্ড এখন একটি মডেল কোম্পানি। আজকের অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি আমাদের কর্মকর্তাদের পরিশ্রমের ফসল। আমি মনে করি এ ধরণের অ্যাওয়ার্ডের আরো আয়োজন হলে বীমাসহ বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাজে অনুপ্রাণিত হবে। এস এম জিয়াউল হক বলেন বলেন, এসবের মাধ্যমে বীমা সম্পর্কে মানুষের যে আস্থার সংকট, সেটা অনেকাংশে দূর হবে বলে আমি আশাবাদী।
এস এম জিয়াউল হক বলেন, বীমা দাবি পরিশোধ করাটা চাটার্ড লাইফের জন্য একটি যুগান্তকারী বিষয়। ২০২০ সালের প্রথম থেকে কয়েক মাস বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব যখন ছিল করোনায় জর্জরিত, লকডাউনে সব ধরনের অফিস-আদালত বন্ধ ছিল, গাড়ির চাকাও ঘোরেনি, সে সময় আমরা গ্রাহকদের যথাযোগ্য সেবা দিতে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়েছি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, কিছু কোম্পানির দাবি পূরণে দীর্ঘসূত্রতার কারণে ভালো কোম্পানিগুলোকে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আমি বলব সরকার ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে আরো কঠোর নজরদারি করে এ বিষয়ে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। 
এস এম জিয়াউল হক বলেন, বীমার অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এখনো সেই পর্যায়ে যেতে পারেনি। তবে বর্তমান সরকারের যে বিভিন্ন উদ্যোগ, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ও আইডিআরের (বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ) সমন্বয়ে প্রবাসীদের জন্য বীমা, শস্য বীমা, কৃষি বীমা, প্রতিবন্ধীদের জন্য বীমা, সুরক্ষা বীমা, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা এবং সর্বোপরি ব্যাংক ইন্টারেস্টসহ গৃহীত উদ্যোগ পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে আশা করছি বীমা শিল্প অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
এস এম জিয়াউল হক বলেন, সেবার মান আরো উন্নীত করতে হবে। বিশেষ করে জীবন বীমার সেবা ঠিকমতো দিলে মানুষ খুশি হয়। এ বীমা একদিকে যেমন মানুষের জীবন রক্ষা করে, অন্যদিকে তার সম্পদও সুরক্ষিত করে। তাই আমি বারবার জোর দিয়ে বলতে চাই, গ্রাহকের বীমা দাবি পরিশোধ করতে হবে। কোনো কোম্পানি যদি সময়মতো দাবি পরিশোধ না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বীমা শিল্পের ভবিষ্যত নিয়ে জানতে চাইলে এস এম জিয়াউল হক বলেন, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ধাপে ধাপে বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৫টি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে। এসব লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে একটি মার্কেট তৈরি হয়েছে। বর্তমানে আমাদের জনসংখ্যা, মাথাপিছু আয় ও শিক্ষার হার বেড়েছে। এজন্য আমি মনে করি, বীমা খাতের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ আছে। তবে এ সেক্টরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে।