বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
হিফজখানায় বলাৎকারের অভিযোগে ৪ শিক্ষককে পেটালো অভিবাবকরা 
প্রতিকী ছবি

হিফজখানায় বলাৎকারের অভিযোগে ৪ শিক্ষককে পেটালো অভিবাবকরা 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশের সময় : November 07, 2022 | অপরাধ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক হাফেজিয়া মাদ্রাসা ছাত্র (১২) কে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার ৪ শিক্ষককে পেটানো হয়েছে। তাদের মারধর করেছেন ওই মাদ্রাসা ছাত্রের বাবা ও চাচা। সোমবার বিকেলে কুমারখালী পৌরসভার মোহাম্মদীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার মাদ্রাসার শিক্ষকেরা হলেন, প্রধান শিক্ষক জুবায়ের, সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, মোতালেবুর রহমান ও  মিজবা উদ্দিন। তাদের মধ্যে মিজবা উদ্দিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে মাদ্রাসার শিক্ষকরা যৌন নিপীড়নের বিষয়টি অস্বীকার করে বলছেন, ‘মাদ্রাসাটি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। অহেতুক ওই ছাত্রের বাবা ও চাচা মাদ্রাসায় ঢুকে সকল শিক্ষককে মারপিট শুরু করেন। ’মাদ্রাসা ছাত্রের বাবা বলেন, ‘দুদিন আগে আমার ছেলেকে হুজুর মিজবা উদ্দিন বলাৎকার করেছেন।
সোমবার দুপুরে ছেলে বাড়ি এসে ঘটনাটি জানালে ক্ষোভে উত্তেজিত হয়ে হুজুরকে মারপিট করেছি। এ বিষয়ে থানায় মামলা করব।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক জুবায়ের বলেন, ‘ওই ছাত্র পড়ে চার তলায়। আর পাঁচ তলার শিক্ষার্থীদের মারধর করত। আমরা নিষেধ করলেই ওই ছাত্র বাড়িতে বলে দিত আর বাবার ভয় দেখাত।
সোমবার সকালেও অন্যান্য ছাত্রদের মারধর করে সে। তাকে নিষেধ করা হলে হুমকি দিয়ে বাড়িতে চলে যায়। এরপর বিকেলে ওর বাবা ও চাচা এসে মারপিট শুরু করে দেন।
সহকারী শিক্ষক মিজবা উদ্দিন বলেন, ‘কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অথচ মিথ্যে অজুহাতে আমাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন। বিষয়টি পরিচালনা কমিটিকে জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে মাদ্রাসাটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ‘ছেলেটি সকালে শিক্ষকদের মারপিটের হুমকি দিয়েছিল। আর বিকেলেই বাপ-চাচা দিয়ে মারপিট করিয়েছে। মাদ্রাসায় কোনো খারাপ ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি নিয়ে কী করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রতিষিদ্ধ/এমএ