পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুতে বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশের নাম। ১ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের মৃত্যুর পাঁচটি কারণের মধ্যে অন্যতম একটি হলো পানিতে ডুবে মৃত্যু। বিশ্বে প্রতিবছর ২ লাখ ৩৫ হাজার শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু হচ্ছে। যার সিংহভাগই ঘটছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে।
"বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ ২০২১" এর এক প্রতিবেদন অনুসারে দেশে বছরে ১৪ হাজারেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে। পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা কতটা মর্মান্তিক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশে শিশু জন্ম-মৃত্যুর হার কমানো গেলেও পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধ করা এখনো সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। দেশের বিভিন্ন স্থানে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু আমাদের এ বিষয়ে একটুও টনক নড়ছে না।
পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর কারণ গুলোর মধ্যে অভিভাবকদের অসচেতনতা লক্ষণীয়। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণ একান্ত জরুরী।শুধু সাতার না জানার ফলে শিশুমৃত্যুই নয় বরং প্রাপ্তবয়স্কদেরও পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা অহরহ ঘটেছে।
তাই সাঁতার শেখার বিষয়টিও আমলে নেয়ার পাশাপাশি পানিতে ডুবে যেন শিশু মৃত্যুর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে অভিভাবক ও পরিবারের সদস্যদের সচেতনতার বিকল্প নেই।