রাজধানীর বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষর (বিডা) কনফারেন্স হলে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারীজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) ১৮ মার্চ শনিবার বিকেলে ‘কোভিড পরবর্তী প্রভাব এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং করনীয়’ সংক্রান্ত এক সিপিডি সেমিনার আয়োজন করে।
আইসিএসবি সভাপতি মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ এফসিএস এর সভাপতিত্বে এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন: আর্থিক সংকট কাটাতে সরকারের সঙ্গে কাজ করবে ফিকি
মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ এফসিএস তার স্বাগত বক্তব্যে প্রধান অতিথিকে আইসিএসবি এবং বিডা-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর করার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন। এই সমঝোতা স্মারক এর মধ্যমে আইসিএসবি বিডাকে পেশাদার সহায়তা, প্রশিক্ষণ, পেশাদার দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করতে পারবে এবং আইসিএসবি-এর সদস্য ও বিডা এর কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশিক্ষণ, পেশাগত উন্নয়ন এবং জ্ঞান ভাগাভাগির কার্যক্রম সহজতর হবে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং করনীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন যে সম্পদের বিচক্ষণ বরাদ্দ এবং উদ্ভাবন ও টেকসই উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন যে, কৃষি বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির মূল রক্ষা ব্যবস্থা এবং এটি আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে বিনিয়োগ-চালিত শিল্প উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জমি বিক্রি করে দিল ইসলামী ব্যাংক
বিশেষ অতিথি আসিফ ইব্রাহিম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসব বৈশ্বিক সমস্যার প্রভাব কমাতে দেশটিকে বহুমুখী প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে। প্রথমত, সরকারকে অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের সহায়তা প্রদান করা দরকার যারা মহামারি দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। দ্বিতীয়ত, মহামারি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিমুখী শিল্পকে সরকারের সহায়তা প্রদান করতে হবে। তৃতীয়ত, কোনো একটি দেশের ওপর দেশের নির্ভরতা কমাতে বাংলাদেশে সরকারের বাণিজ্য সম্পর্কে বৈচিত্র্য আনতে হবে। চতুর্থত, জীবাশ্ম জ্বালানির উপর দেশের নির্ভরতা কমাতে সরকারকে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলিতে বিনিয়োগ করতে হবে।