বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
সোনার বাজার চাঙ্গা করতে বাজুসের ১২ প্রস্তাবনা
সোনার বাজার গতিশীল করতে বাজুসের ১২ প্রস্তাবনা

সোনার বাজার চাঙ্গা করতে বাজুসের ১২ প্রস্তাবনা

প্রতিষিদ্ধ প্রতিবেদক
প্রকাশের সময় : April 04, 2023 | বাজেট

জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাক বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর। আরও উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সহ-সভাপতি ও স্ট্যাডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বাজুসের সহ-সভাপতি মোঃ রিপনুল হাসান, বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুসের সহ-সম্পাদক ও স্ট্যাডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সমিত ঘোষ অপু, স্ট্যাডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের সদস্য সচিব পবন কুমার আগরওয়াল।

আরো পড়ুন: স্ত্রীর করা মামলায় কারাগারে সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যান

সংবাদ সম্মেললে বলাহয় দেশের প্রাচীন শিল্পের মধ্যে অন্যতম জুয়েলারি খাত। বর্তমানে চরম সঙ্কটে দিশেহারা এই জুয়েলারি শিল্পের জন্য প্রয়োজন সরকারের নীতি সহায়তা। অপার সম্ভাবনা থাকার পরও, সুষ্ঠ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও নীতি সহায়তার অভাবে জুয়েলারি শিল্প এখন হুমকির মুখে পড়েছে।

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ২০২২ সালের প্রতিবেদন মোতাবেক বিশ্ব বাজারে সোনার চাহিদা ছিলো ৪ হাজার ৭৪০ টন। এরমধ্যে সোনার অলংকারের চাহিদা ২ হাজার ১৮৯ দশমিক ৮ টন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয় বৈধভাবে সোনার চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্রে বড় বাঁধা কাঁচামালের উচ্চ মূল্য, অতিরিক্ত উৎপাদন ব্যয়, শিল্প সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির উচ্চ আমদানি শুল্ক। বর্তমানে জুয়েলারি শিল্পের প্রায় সকল ধরণের পণ্য ও যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ। যা স্থানীয় অন্যান্য শিল্পে আরোপিত শুল্কের চেয়ে অনেক বেশি। এতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে উচ্চ ভ্যাট হার ও অতিরিক্ত উৎপাদন খরচের কারণে ভোক্তা পর্যায়ে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে দামের পার্থক্য হচ্ছে। এতে ক্রেতা হারাচ্ছেন জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ছোট ছোট জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা।  

নেতিবাচক প্রভাবের দায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নীতি নির্ধারকদের উপর অনেকখানি বর্তায়। অবাস্তব নীতি প্রণয়ন, শুল্ক নির্ধারণে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের গোঁড়ামি, ভ্যাট ও আয়কর কর্মকর্তাদের কর্তৃক ব্যবসায়িদের হয়রানি এবং আমদানির ক্ষেত্রে কাস্টমস সদস্যদের ক্ষমতার অপব্যবহার এই শিল্পের সাথে সংযুক্ত ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি ও আতংকের প্রধান কারণ। এতে সরকার প্রত্যাশিত রাজস্ব আয় থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।

পরে বাজুসের পক্ষ থেকে ভ্যাট, শুল্ক ও রাজস্বসহ ১২টি প্রস্তাবনা দেয়া হয়।