আইএমএফের শর্ত পূরণ ও জনস্বার্থে কিংবা দেশীয় শিল্প রক্ষা করার জন্য ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটে বিভিন্ন পণ্যের শুল্ক ও কর বৃদ্ধি কিংবা ছাড়ের প্রস্তাবনা আসবে। উল্লেখ্য কারণে সার্বিকভাবে কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে। তবে অধিকাংশ পণ্যের দাম বাড়লেও কিছু পণ্যের দাম কমতে পারে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের সম্ভাব্য পরিধি ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার মতো ধরা হবে বলে ধারণা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। দেশের জিডিপির আকৃতি ৫০ লাখ ৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৫ থেকে ৬ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার পরিকল্পনা করছে অর্থমন্ত্রীর। বাজেটে জনগণ থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। যেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
মাংস
মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাব আসতে পারে উক্ত বাজেটে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া পণ্যটির দাম কমে আসতে পারে। অগ্রিম আয়কর ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হতে পারে।
দেশীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম
দাম কমতে পারে দেশীয় বৈদ্যুতিক এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেটের। দেশীয় উৎপাদনকে আরও উৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক ২০-২৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। আসন্ন বাজেটে ওই ১০-৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হতে পারে।
মিষ্টি
মিষ্টির ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে মিষ্টি জাতীয় আরও কিছু প্যাকেটজাত পণ্যেও ভ্যাট কমানো হবে।
বিদেশি পোশাক
অভিজাত বিদেশি কাপড় আমদানির ওপর শুল্ক কমানো হতে পারে। এনবিআর সূত্রে জানা যায়, এসব পণ্যে শুল্ক-কর ২০-২৫ কমিয়ে ৫ থেকে ১০ করা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ই-কমার্সের ডেলিভারি চার্জ
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি মেনে নিয়ে বিক্রয়ের উপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিক্রয়ের উপর ৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক), ডেলিভারি চার্জের উপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট, বাড়ি ভাড়ার উপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদান করতে হয়। ভ্যাট অব্যাহতি পেলে কমবে ডেলিভারি চার্জও কমে যাবে।
এছাড়াও শুল্ক ছাড়ের কারণে কমতে পারে দেশে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি, ফ্রিজ, ন্যাপকিন, ডায়পার, আলু উৎপাদনের মেশিন ও যন্ত্রপাতি তৈরির সরঞ্জামের দাম।
প্রতিষিদ্ধ/এমএএম
