শিক্ষার্থী বিবেচনায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইএইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতাসহ বেশকিছু অভিযোগ উঠেছে। ইআবির বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা ইমরুল হাসান এ অভিযোগ করেন।
ইমরুল হাসানের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসি সদস্য ড. হাসিনা খানের নেতৃত্বে সম্প্রতি একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি অভিযোগ তদন্তে কাজ করছে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউজিসির নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা আমলে না নিয়ে উপাচার্যের বাসার কাজের মেয়ে রোজিনাকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন উপাচার্য। ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির দায়ে রেজিস্ট্রার থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত উপ-রেজিস্ট্রার কামরুল ইসলামকে রেজিস্ট্রার হিসেবে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য।
নিষেধাজ্ঞা ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নীতিমালা পাশ কাটিয়ে পিআরএল ভোগরত কর্মকর্তাকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব শাখায় পরিচালক পদে নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদ বলেন, আমরা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নই। তবে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তা ঘটার কোনো সুযোগ নেই এবং ঘটেনি
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
আরো দেখুন:
গোপনে কাপড় বদলানোর ভিডিও ধারণ করে ৬ মাস ধরে ধর্ষণ
প্রতিষিদ্ধ./এমএম