বাংলাদেশ পর্যটন মেলা শুরু হলো ৩০ মার্চ থেকে। আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান।
গত ২৮ মার্চ হোটেল প্যান প্যাসিফিকে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে পর্যটন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ও অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের পর্যটন নিয়ে মহাপরিকল্পনা আসছে। যা বাস্তবায়ন হলে দেশের পর্যটন খাতের চেহারা পাল্টে যাবে। সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)-এর সভাপতি মো.রাফেউজ্জামান। তিনি বলেছিলেন, দেশের স্বার্থ বিবেচনায় পজিটিভ সংবাদ প্রচার করতে হবে। পর্যটন খাত নিয়ে নেতিবাচক খবর প্রচার না করাই ভালো। এতে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে পর্যটক আসতে নিরুৎসাহিত হয়। তিনি আরও বলেছিলেন, আমাদের দেশে ১ হাজার ১৯২টি পর্যটন স্পট আছে। কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনের পাশাপাশি অন্য স্পটগুলোতেও যেন মানুষ যায় সেটিও খেয়াল রাখতে হবে।
২০০৭ সাল থেকে বাৎসরিক এই আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার আয়োজন করে আসছে পর্যটন শিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। এ মেলার প্রধান উদ্দেশ্য হলো পর্যটন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়ন।
মেলার সার্বিক সহযোগিতায় থাকছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, এফ.বি.সি.সি.আই এবং বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ।
তিন দিনের এই মেলায় অংশ নিয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটন সংস্থা, দেশি ও বিদেশি ট্যুর অপারেটরস, ট্রাভেল এজেন্টস, ট্যুরিজম অথরিটি, এয়ারলাইন্স, হোটেল, রিসোর্টস, এমিউজমেন্ট পার্ক, ট্রান্সপোর্ট কোম্পানিসহ আরও অনেকে। করোনার কারণে এ বছর বিদেশিদের অংশগ্রহণ সীমিত পর্যায়ে থাকবে।