অন্যান্য খাতের ন্যায় পর্যটন খাতেও বাংলাদেশ ব্যাপক সম্ভাবনাময় একটি দেশ হলেও আমরা বাংলাদেশের পর্যটন বলতে নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানকেই বুঝি। যুগ যুগ ধরে পর্যটন বলতে মানুষ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নামই কেবল জানে। তবে কালের করিক্রমায় দেশের আরো কিছু স্থান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
সেসব স্থানে গড়ে উঠেছে হোটেল মোটেলসহ বিভিন্ন বিশ্রামাগার ও বিসোর্ট। এখন নতুন করে পরিচিতি পাওয়া পর্যটন কেন্দ্র গুলোতেও পর্যটকরা ভ্রমণ শুরু করেছে। অদূর ভবিষ্যতে দেশে নতুন করে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ছে। তবে এক্ষেত্রে বেশির ভাগই কৃত্রিম পর্যটন। তাছাড়া হোটেল ও রিসোর্ট সেক্টরের উদ্যোক্তাদেরও কৃত্রিম পর্যটনের প্রতি বেশি আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এসব কৃত্রিম পর্যটনের বিনিয়োগের অংক খুবই ব্যয়বহুল হওয়ায় সেসব স্থানে পর্যটকদের ভ্রমণ ও অবকাশ যাপনেও মোটা অংকের বাজেট গুণতে হয়। কিন্তু আরো খুব সহজে বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব। কোন প্রকার অবকাঠামো ছাড়াই শুধু যাতায়াত ব্যবস্থার গতানুগতিক উন্ননের পরিকল্পনার একটু মোড় ঘুরিয়ে দিলেই স্বল্প বিনিয়োগে এসব অবকাশের স্থান বিনির্মাণ করা যায়। আর সেটি হল ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজম।
আমাদের দেশের এমন অনেক পর্যটক ও পর্যটন উদ্যোক্তা রয়েছেন যারা হয়ত ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজমের নাম এ প্রথম শুনে থাকবেন। এ কারণেই প্রথম শুনবেন যে, আমাদের দেশে পর্যটনকে শ্রেণিবিভাগ করে খুব কমই পরিচিত করা হয়। কিন্তু সারা বিশে^ হয়ত বাংলাদেশই একমাত্র ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজমের সর্বোচ্চ সম্ভাবনার দেশ। অনেকে হয়ত একথা শুনেও আশ্চর্য হবেন যে, নতুন একটি শব্দ আবার এটি কিভাবে সর্বোচ্চ সম্ভাবনার খাত হতে পারে? হ্যাঁ, বাস্তব কথা হলো এটিই আমাদের দেশের সর্বপ্রথম পর্যটন সম্ভাবনা।
আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি এবং প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তকে পড়েছি, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, এ দেশে বহু নদ-নদী আছে। আরো আছে বিল হাওড় বাওড় ইত্যাদি। মাছে ভাতে বাঙালি ও বাংলার নদীর মাছের গুনগানও আমরা কেবল অল্প শুনিনি। এবার একটু চিন্তা করুন নদী বা বিল কেন্দ্রীক আমাদের দেশে কয়টি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। যে কয়টি নদী বা হাওড় কেন্দ্রীক পর্যটন আছে তা নদীর তুলনায় কিংবা চাহিদা ও সম্ভাবনার তুলনায় খুবই নগণ্য। হ্যাঁ, নদী, বিল-ঝিল, হাওড়-বাওড় কেন্দ্রীক যে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠে সেগুলোকে ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজম বলা হয়। সোজা কথায় ওয়াটার বা পানি কেন্দ্রীক পর্যটনই হলো ব্যাক ওয়াটার ট্যুরিজম। তবে সাগর বা মহাসাগর কেন্দ্রীক পর্যটন এখনও পর্যন্ত পর্যটন গবেষকদের বিশ্লেষণে ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজমের আওতার সেভাবে পড়ে না। কারণ এগুলো আন্তর্জাতিক সীমারেখার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তবে ভারতের কেরালায় তারা স্থানীয়ভাবে ব্যাকওয়াটারের ভিন্ন একটি সংজ্ঞা তৈরি করেছে। কেরালার মালাবার উপকূলে বহুবার বিভিন্ন ভূপ্রাকৃতিক কারনে উত্থান ও অবনমন হয়েছে। ফলে অবনমিত স্থানগুলিতে সমুদ্রেরপানি আটকে গিয়ে পরবর্তী কালে হ্রদের সৃষ্টি হয়েছে। এই হ্রদগুলিকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয়েছে কয়াল। আর এগুলিকে ভৌগোলিক ভাবে বলা হয় ব্যাকওয়াটার। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে আমরা যদি বিবেচনা করি অথবা বিশ্লেষণ করি তাহলে ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজম বলতে অভ্যন্তরীণ জলাশয় কেন্দ্রীক সকল পর্যটন কেন্দ্রকেই বোঝায়। তবে কেরালা সরকার তাদের ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজম নিয়ে খুবই সচেতন। তারা সেগুলো থেকে যেমন আয় করে তার চেয়ে বেশি গবেষণা ও বিনিয়োগ করে। যার কারণে তাদের ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজম গুলোর প্রচার ও প্রসার দিন দিন কেবল বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে পর্যটন খাত থেকে কেরালার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
কাপ্তাই হ্রদ, সুনামগঞ্জ ও কিশোগঞ্জের হাওড়, নাটোরের চলনবিলসহ বেশ কিছু স্থানের নাম দর্শনীয় স্থান হিসেবে মানুষের মুখে মাঝে মাঝে শুনা যায়। কিন্তু যতটুকু শুনা যায় তার চেয়ে আরো কয়েকগুণ বেশি পর্যটন সম্ভাবনা সেখানে রয়েছে। বাংলাদেশে ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় ৫ শতাধিক নদী আছে। আর বিভিন্ন বিল-ঝিল, হাওড়-বাওড়, এবং হ্রদ তো আছেই। আর এ সবকিছুকেই ঘিরেই রয়েছে এক বা একাধিক পর্যটন সম্ভাবনা। এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগালে বর্তমানের চেয়ে আরো প্রায় ১০ গুণ বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পর্যটন খাত থেকে আসতে পারে। শুধু নদী নয়, ছোট ছোট খালগুলোকে পরিকাঠামোর মধ্য দিয়ে পর্যটন বিকাশে কাজে লাগানো সম্ভব।
ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজম অন্য যেকোন ট্যুরিজমের চেয়ে যেকোন পর্যটককে বেশি টানে । একজন বিদেশী নাগরিক যখন শুধুমাত্র পর্যটক হিসেবে কিংবা ব্যবসা ও অন্য যেকোন কাজে আমাদের দেশে আসেন স্বাভাবিকভাবে তিনি যদি ১০ দিন বাংলাদেশে অবস্থান করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। যদি এমন ভিন্ন ভিন্ন মুগ্ধকর একাধিক ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজম থাকে তাহলে তার অবস্থানের সময়কাল বাড়তেও পারে। আবার একজন বিদেশী যদি শুধুমাত্র ব্যবসায়ের কাজে বাংলাদেশে আসেন তখন তার হোটেলের অদূরেই যদি কোন ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজমের খোঁজ পান তখন তিনি তার অবস্থানের সময়সীমার বাজেট বৃদ্ধি করতে দ্বিধা করবেন না।
তবে বাংলাদেশে ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজম গুলোর উন্নয়নে নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয় বা বিআইডব্লিউসিটির বহু ভূমিকা রাখার মতো ব্যপার আছে। আবার বিআইডব্লিউটিএ এসব ক্ষেত্রে আরো উদার ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ নদীর চর-ঘাট ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ, দখলমুক্ত করণ ও এসবের পরিবর্তন এবং পরিবর্ধন বিআইডব্লিউটিএ এর দায়িত্বের আওতায় পড়ে। বিআইডব্লিউটিএ এর সঙ্গে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের সমঝোতার মাধ্যমে দেশের ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজমকে সমৃদ্ধশালী করার প্রচেষ্টা সবচেয়ে ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনা রাখে। দেশের মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তর গুলোর সমঝোতার মাধ্যমে শুধু পর্যটন কেন, রাষ্ট্রের যেকোন উন্নয়ন পরিকল্পনা সহজ এবং সফল করার দাবি রাখে।
নৌকা বাইছ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার ঐতিহ্যবাহী একটি খেলা। শুধু খেলা নয়, এটি বাংলাদেশের ভৌগলিক সংস্কৃতির অন্যতম একটি অংশ। তবে এ ধরণের খেলা আজ প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। নদী ভিত্তিক পর্যটন প্রসারের মাধ্যমে এ ধরণের ঐতিহ্যবাহী খেলাকে আবার পুনর্জীবিত করা যায়। তাছাড়া নৌযানে ভ্রমণ করা এখন বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের অনেক মানুষের জন্য শুধুই স্বপ্ন। নদী ভিত্তিক পর্যটনের মাধ্যমে মানুষ নৌযানে ভ্রমণের মাধ্যমেও অবকাশ যাপনের সুযোগ তৈরি হয়।
বরিশাল বিভাগের পেয়ারা বাগান, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবনের পর্যটনের কথা শুনা গেলেও সম্ভাবনার তুলনায় সেগুলো ততটুকু সমৃদ্ধ ও সক্রিয় করে এখনও গড়ে তোলা যায়নি। এসব পর্যটন বাংলাদেশে সম্পূর্ণ আলাদা ও ব্যতিক্রমি পর্যটন। পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রেখে বিদেশি পর্যটকদের জন্য এগুলোকে সময় কাটানোর মত আরামদায়ক করে গড়ে তোলা গেলে বিদেশি পর্যটকরা সেখানে নতুন করে প্রাণ ফিরে পেতে পারে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে এসব পর্যটন কেন্দ্রের কাছাকাছি বিদেশিদের চাহিদা অনুযায়ী তেমন কোন বাসস্থান নেই। যাতে অবকাশ যাপনে এলে তারা কয়েকটি দিন সেখানে অবস্থান করতে পারে। এক্ষেত্রে ট্যুর অপারেটর ও পর্যটন উদ্যোক্তাদের আশায় বসে না থেকে সরকারিভাবে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। আর সেসব উদ্যোগে প্রতিবছর কিছু দক্ষ পেশাদার জনশক্তি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি বহু লোকের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্বের অভিশাপকেও লাঘব করা সম্ভব।
আমরা শুধু প্রতিবছর নদীর দুর্ণাম শুনি যে নদী অমুকের এ নিয়ে গেছে, তমুক গ্রাম ভেঙে নিয়ে গেছে। কিন্তু নদী যে আমাদের নিকট থেকে শুধুমাত্র নিয়ে যায় না, আমাদের অনেক কিছু দিতেও পারে সেটি নদী ভিত্তিক পর্যটনে স্বয়ংসম্পন্ন হওয়ার পরই দারুণভাবে উপলব্দি করা যাবে। নদী ভিত্তিক পর্যটন গুলোতে নৌপথে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হলে তখন সড়ক পথের উপর চাপ কমার পাশাপাশি যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনাও ব্যপাকভাবে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে লঞ্চঘাট গুলোর আধুনিকায়ন, অন্যান্য উন্নয়ন এবং সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ নৌ পরিবহণ কতৃপক্ষের ঘাড়েই হয়ত পড়বে। তবে এ ক্ষেতে নৌ পরিবহন খাতও কর্মসংস্থান ও দক্ষ লোকবলে সমৃদ্ধ হবে। তবে এসব ক্ষেত্রে দক্ষ লোকবল নিয়োগের ক্ষেতে প্রচলিত বিসিএস নীতি হতে একটু বাইরে গিয়ে পেশাদার লোক তৈরির উদ্যোগ না নিলে এসব খাত বেশিদিন স্থায়ী না হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব হাওড় বা বিল- ঝিল রয়েছে সেখানেও সীমিত পরিসরে বিদেশি পর্যটকরা থাকার উপযোগী আরামদায়ক বাসস্থানের ব্যবস্থা করলে সেখানে পর্যটক সমাগম বাড়বে। তবে এ ক্ষেত্রে সেসব স্থানকে একদম নগর বানিয়ে ফেলা যাবে না। তাহলে দেখা যাবে একটি সময়ে গিয়ে সেখানকার মুগ্ধকর পর্যটনই হারিয়ে যাবে।
বিশে^র বহু দেশ রয়েছে যাদের দেশজ উৎপাদন শুধুমাত্র পর্যটনের উপরই নির্ভর করে। নেপাল এবং ভূটান তার জলন্ত দুটি উদাহরণ। নেপালের অর্থনীতি পুরোটাই পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল। প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজারো মানুষ নেপাল ভ্রমণ করে। বন্যপ্রাণী বৈচিত্র্য নেপালের একটি উল্লেখযোগ্যবৈশিষ্ট। অত্যন্ত ঠান্ডা থেকে উষ্ণপ্রধান আবহাওয়ার তারতম্যের জন্য নেপালে উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতেএক বিরাট বিভিন্নতা বা বৈচিত্র্য আছে। বন্যপ্রাণী পর্যটন নেপালের অন্যতম পর্যটন। নেপালে কিছু বন্যপ্রাণী আছে যা একমাত্র নেপালে দেখা যায় যেমন স্পিনি ব্যাব্লার। নেপালেই বিভিন্নপ্রজাতির রডোডেন্ড্রন দেখা যায়। নেপালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য অনেকগুলি জাতীয় উদ্যান স্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে গুরত্বপূর্ণ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হল সাগরমাতা রাষ্ট্রীয় উদ্যান ও চিতোয়ান রাষ্ট্রীয় উদ্যান।
ভুটানের অর্থনীতি কৃষি, বনজ, পর্যটন এবং ভারতে জলবিদ্যুৎ বিক্রির উপর নির্ভরশীল। জনসংখ্যার ৫৫.৪ শতাংশের জন্য কৃষিকাজ মূল জীবিকা সরবরাহ করে। কৃষিকাজ মূলত খামার এবং পশুপালন নিয়ে গঠিত। হস্তশিল্প, বিশেষত তাঁত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে ভুটানে পার্বত্য ও পাহাড়ী অঞ্চল হবার ফলে রাস্তাঘাট এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ কঠিন এবং ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। এছাড়াও সুইজারল্যান্ড বা অন্যান্য দূরবর্তী মহাদেশের পর্যটন রাষ্ট্রগুলো তো পড়েই আছে। আমাদের নিকট প্রতিবেশী ভারতের কেরালা তাদের ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজমের উন্নয়নের জন্য বিগত বছরের প্রায় প্রবৃদ্ধির চেয়েও বেশি ব্যয় করে।
বাংলাদেশের পর্যটনগুলোকে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করে সেসব স্থানে ভ্রমণের উপযোগী সময়, খরচের মাত্রা, এলাকাভেদে খাবারের দাম এবং হোটেলে রাত যাপনের মূল্য নির্ধারণ করে দিলে পর্যটনগুলোতে মানুষের আগহ বাড়বে। পাশাপাশি পর্যটকরা তার ব্যয় ও খরচের ব্যপারে পরিকল্পনা নিতে পারে। এ ক্ষেতে ভোক্তা অধিকারের সক্রিয় অংশগ্রহন গুরত্বপূর্ণ একটি অনুসঙ্গ। বাংলাদেশে একটি পর্যটন গবেষণা ইনস্টিটিউট করা যেতে পারে। যেখানে নতুন নতুর পর্যটন সৃষ্টি, পর্যটনের শ্রেণি-বিভাগ বৃদ্ধি করার প্রতি গুরুত্বারোপ, পর্যটনের উন্নয়ন, বিদেশে পর্যটন প্রচারের প্রক্রিয়া ও পর্যটকদের ব্যতিক্রমি যেকোন অথিতিয়তার ব্যাপারে গবেষণা করা যায়। এমন একটি ইনস্টিটিউট দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও পর্যটন বোর্ডকে সর্বাত্মক সহায়তা করতে পারে। বাংলাদেশের পর্যটন থেকে যদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চিন্তা করা হয় তাতেও সর্বপ্রথম ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজমের নাম আসে।
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মজুমদার