বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল তৈরির কাজে গাফিলতি করায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অভিযুক্তরা হলেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক, প্রশাসন, প্রশিক্ষণ এবং তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের (আইএমডি) পরিচালক ও আইএমডির প্রকৌশলী। এর মধ্যে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হবে মামলা।
বুধবার (১৫ মার্চ) এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়। বুধবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট ফাইলের নথি অনুমোদন করেছেন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
জানা যায়, অভিযুক্তদের মধ্যে ডিপিই মহাপরিচালক ও তিন পরিচালককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। আর প্রকৌশলী অনুজ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে।
আরো পড়ুন: ৬ লাখ ৫০হাজার শিশুকে স্কুলে ভর্তির পরিকল্পনা করছে সরকার
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদনে বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলে ক্রটির হওয়ার পেছনে দায়ীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের অপরাধ প্রমাণিত করে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ বিভাগীয় মামলা করা হবে।
সূত্র জানায়, বৃত্তির ফলাফল তৈরির কাজের সঙ্গে জড়িত ৫ জনের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার প্রমাণ পেয়েছে দুই তদন্ত কমিটি। তার মধ্যে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন ও ফলাফল তৈরি কার্যক্রমের প্রধান ডিপিই’র পরিচালক (প্রশাসন) এস এম আনছারুজ্জামানসহ আইএমডি বিভাগের দুই জন এবং প্রশিক্ষণ বিভাগের একজন আছেন। মহাপরিচালকও দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ দিয়েছেন বলে মনে করছে তদন্ত কমিটি।
জানা গেছে, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অঘটন আর না ঘটে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে সতর্কতা প্রদানসহ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও বিভাগীয় মামলা দায়ের করার সুপারিশ করা হয়েছে।