সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
কালীগঞ্জে কীটনাশক স্প্রে করে পুড়ালো ধানের চারা 
কালীগঞ্জে কীটনাশক স্প্রে করে পুড়ালো ধানের চারা 

কালীগঞ্জে কীটনাশক স্প্রে করে পুড়ালো ধানের চারা 

প্রতিষিদ্ধ প্রতিবেদক
প্রকাশের সময় : January 31, 2022 | কৃষি

 

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের নিয়ামতপুর ইউনিয়নের ফারাশপুর গ্রামের মাঠে কৃষক আবু সাঈদ ৮ শতক জমিতে বীজতলা দিয়েছিলেন, চারাও হয়েছিল বেশ ভালো। আশা ছিল এই চারা দিয়ে কমপক্ষে ১২ বিঘা জমিতে ধানের চাষ করবেন। যা তার বছরের অর্ধেক সময় খাওয়া আর বিক্রির মাধ্যমে সংসারে খরচ মেটাবেন। এখন তার সব আশা মুহুর্তেই শেষ হয়ে গেছে। 

বুধবার  রাতে কে বা কারা তার বীজতলায় আগাছা মারা ঔষধ স্প্রে করে সব চারা(পাতো) পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যপারে ফারাশপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার এর পুত্র কৃষক আবু সাঈদ জানান, তার মাঠে ১০ বিঘা ধান চাষের জমি রয়েছে। এই জমিতে ইরিবোরো ধান গাছ রোপনের জন্য ৮ শতক জমিতে ধানের বীজ ছিটিয়েছিলেন। 

তার সঙ্গে তাদের গ্রামেরই ওবাইদুর রহমানের ২ বিঘা চাষের জমি রয়েছে। 

এক মাস হলো বীজতলা তৈরী করে সেখানে ১০০ টাকা কেজি দরে ধানের বীজ ক্রয় করে বপন করেছিলেন জমিতে ৬০ কেজি বীজ। এরপর সার দেওয়া সহ নানা ভাবে পরিচর্যা করে চারাগুলো বড় করেছেন। 

এগুলো করতে তার এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। 

একটাই আশা এই চারা দিয়ে জমি চাষ করে ফসল ফলাবেন। যে ফসল তার পরিবারের লোকজনের খাবার জুটাবে পাশাপাশি কিছু ধান বিক্রি করে সংসার খরচ করবেন। কিন্তু এক রাতেই তার সব আশা শেষ হয়ে গেছে।

 

আবু সাঈদ জানান,  আরো বলেন গত শুক্রবার  তিনি বীজতলায় পানি দেওয়ার জন্য গেলে দেখতে পান বপনকৃত ধানের চারা লাল হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থা দেখে হতাশ হয়ে পড়েন। প্রথমে বুঝতে পারছিলেন না কেন এমনটি হচ্ছে। পরে শনিবার  সকালে মাঠে গিয়ে দেখতে পান গোটা জমির ধানের চারা পুড়ে মারা গেছে। চারাগুলো সোনালী রং এ ধারন করেছে।

 তখন বুঝতে পারেন যে কেউ তার জমিতে ঘাসমারা ঔষধ স্প্রে করে চারা পুড়িয়ে  দিয়েছে। কৃষক সাঈদ  বুঝে উঠতে পারছেন না কে বা কারা এই জঘন্য কাজটি করেছে?

তবে যারাই করুক তাকে আর্থিক ভাবে ক্ষতি করতে এই কাজটি করেছে বলে ধারনা করছেন।  এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

অপর কৃষক ওবাইদুর রহমান জানান, মূলত সাঈদকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে এটা করা হয়েছে। যারা কাজটি করেছেন তারা জঘন্যতম কাজ করেছেন। মানুষের ক্ষতি করতে ফসল নষ্ট করা হয়েছে। ওবাইদুল রহমান আরো জানান, এই অবস্থায় চারা পেলে তারা ধান চাষ করতে পারবেন, অন্যথায় চাষ বন্ধ থাকবে। স্থানীয় নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সাইদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি খুবই খারাপ হয়েছে। যারাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আমা জরুরী বলে তিনি মনে করেন।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এনায়েত কবির জানান, তারা সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে দেখতে যান। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এভাবে ফসলের ক্ষতি করা খুবই খারাপ কাজ। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অবহিত করার জন্য ছবি উঠিয়ে বন্ধের দিনে অফিসিয়াল পেজে পোষ্ট করেছেন বলে জানান। পরে অফিস খুললে লিখিত ভাবে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন এনায়েত কবির। তিনি আরো বলেন  কৃষক সাঈদ হোসেন যাতে ধান রোপণ করার জন্য  চারা প্রদান করার আশ্বাস দেন কৃষি বিভাগ কর্মকর্তা।


পূর্বের সংবাদ
পরের সংবাদ