শনিবার, মে ৪, ২০২৪
রমজানে জনদুর্ভোগ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও যথাসময়ে শ্রমিক মজুরি পরিশোধের দাবি এবি পার্টির 
রমজানে জনদুর্ভোগ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও যথাসময়ে শ্রমিক মজুরি পরিশোধের দাবি এবি পার্টির 

রমজানে জনদুর্ভোগ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও যথাসময়ে শ্রমিক মজুরি পরিশোধের দাবি এবি পার্টির 

প্রতিষিদ্ধ প্রতিবেদক
প্রকাশের সময় : March 31, 2022 | রাজনীতি

রাজধানীতে অসহনীয় যানজট ও দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণের দুর্ভোগ চুড়ান্ত মাত্রায় উপনীত হওয়ার প্রেক্ষিতে এবি পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে আজ সকাল এগারোটায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় ও দক্ষিণের আহবায়ক বিএম নাজমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির আহবায়ক, সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার ও অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম । অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুব পার্টির সমন্বয়ক এবিএম খালিদ হাসান , ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, যুবনেতা ইলিয়াস আলী, মহানগর দক্ষিণের নেতা আনোয়ার ফারুক, গাজী নাসির, কামাল হোসাইন, সেলিম খান, তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, আমেনা বেগম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, নিত্যপ্রয়োনীয় দ্রব্যের সিন্ডিকেট, রাস্তায় চাঁদাবাজি, অনিয়ম সবকিছু সরকারের জানা আছে। কিন্তু সরকার কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যানজটে ঢাকা অচল। বায়ু দূষণ, পানি দূষণে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এগুলো সঠিক ব্যবস্থাপনা নাই। আমরা দাবি জানাই, অবিলম্বে সকল অনিয়ম দূর করে জনগণের জীবন যাত্রা সহজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ঈদের আগে প্রতিবার শ্রমিকদের মজুরির জন্য মাঠে নামতে হয়। আমরা এখনই সরকার ও মালিক পক্ষকে বলতে চাই এবার রমজানে শ্রমিকদের যেন যথা সময়ে মজুরি পরিশোধ করা হয়। কোন অনিয়ম সহ্য করা হবেনা।
মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, আমাদের পুলিশ প্রশাসনে অনেক দক্ষ লোক রয়েছে। সরকারকে তাদের কাজের সুযোগ দিতে হবে। আমরা চাইনা সিভিল প্রশাসনে সামরিক বাহিনী আসুক কিন্তু জনগণের জীবন দূর্বিষহ হলে প্রয়োজনে সাময়িক ভাবে তাদের সহোযোগিতা নিন। অবিলম্বে মানুষের জীবনকে সহজ করুন। সামনে রোজা, কোন ভাবেই যেন রোজায় মানুষ কষ্ট না পায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় বসে থাকছে। ডায়রিয়া হাসপাতালে কোন সিট নেই। দ্রব্য মূল্যে জনতা দিশেহারা। সরকার বাহাদুর নিরব নিস্তব্ধ। ঢাকাকে একটি অচল নগরে পরিনত করা হয়েছে। আমরা সকল কাজে সামরিক বাহিনী আসুক চাইনা। কিন্তু সামনে রোজা, মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সিভিল প্রশাসনকে সহায়তার জন্য প্রয়োজনে সামরিক বাহিনীকে মাঠে আনুন। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করুন।
সভাপতির বক্তব্যে বিএম নাজমুল হক বলেন, অনকে হয়েছে। জনগণের কষ্ট সহ্যের সকল সীমা ছাড়িয়ে গেছে। অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন নইলে গদী ছাড়ুন। এভাবে আর চলতে দেয়া হবেনা। তিনি কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।