গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, একটি অগণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিতাহীন সরকার যে মানুষের জান-মাল রক্ষা করতে সক্ষম নয়। নারায়ণগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় নিরাপরাধ ৫০ জন শ্রমিক আগুনে ভষ্মিভূত হয়ে নির্মমভাবে তা প্রমাণ করলো। এই করোনা মহামারিতে এমনিতেই মানুষের জীবন রক্ষা যাচ্ছে না। তার ওপর অবহেলা ও জবাবদিহিতা না থাকায় আরো নিরিহ অর্ধশত মানুষকে প্রাণ দিতে হলো।
হাশেম ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানায় আগুনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগুনে পুড়ে শ্রমিক হত্যার দায় রাষ্ট্র ও সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারে না। তারা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের এতো প্রাণ ঝড়ে যাওয়াার পর জানা গেলো এই কারখানা ভবনের নকশা ও কারখানা অনুমোদনে ত্রুটি ছিলো। এ ধরণের ত্রুটি চিহ্নিত করা এবং শ্রমিক কর্মচারিদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সরকারের একাধিক মন্ত্রণালয় ও তার অধীনে নানা সংস্থা ও লোকবল আছে। দুর্ঘটনা ঘটনার আগেই তা চিহ্নিত করা এবং প্রতিকারের জন্য তাদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্বও আছে; কিন্তু তাদের কাজের কোন জবাবদিহিতা নেই; নেই দায়িত্বে অবহেলার জন্য কোন শাস্তির ব্যবস্থা। এধরণের কাঠামোগত শ্রমিক হত্যার জন্য আজ পর্যন্ত কোন দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা এবং আইন অনুযায়ী শাস্তি কার্যকর করার কোন নজির বাংলাদেশের ইতিহাসে নাই। ফলে এ ধরণের ঘটনা বার বার ঘটেই চলেছে।