ব্যবসায়ে শরীয়াহ পরিপালন নামে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে সদস্যদের শরীয়াহ জানার সুবিধার্থে প্রশ্ন উত্তরের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের পেশাদারিত্বের অভাবে তা হয়ে উঠেনি বা উঠছেনা। সমালোচনা করলে তাতে অনেকে হাঁপিয়ে ওঠেন। অনেকে এতে বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে বলে এডিয়ে যেতে চান। কেউ কেউ আছেন শুধু নিজের স্বার্থে সব কিছু ব্যবহার করতে। আসলে সকল ক্ষেত্রে শরীয়াহ পালন একজন মুসলমানের জন্য অবশ্য কর্তব্য। উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে আরো বেশি প্রয়োজন। গতদিন সাউথ কোরিয়ায় বসবাসরত ছোট ভাই রিপন ফোনে একটি অভিজ্ঞতার কথা জানালো। সে চায়নাতে দেখেছে একজন বাংলাদেশী উদ্যোক্তা সারাদিন ঘুরেছে লোগো ঠিক রেখে একটি মালামালকে কতটুকু কম মূল্যে তৈরি করতে পারে। আর সন্ধায় খেতে গিয়ে বলে আমিতো মুসলিম, তোমাদের এই হারাম খাবার খেতে পারবো না। তাই আমাকে হালাল খাবারের দোকানে নিয়ে যাও। তখন ঐ চায়নিজ বেচারা বলতে থাকে,তুমি মানুষ ঠকানোর জন্য এতক্ষণ কমদামে জিনিস তৈরীর উদ্দেশ্যে লোগো ঠিক রেখে বেশি দামে বিক্রির মত হারাম উদ্যোগ নিতে পেরেছো,আর শুধুমাত্র খাবার গ্রহণের সময় হালাল খুঁজতেছো কেন? এমন ঘটনা অহরহ দেখা যাচ্ছে। আসলে আমাদের চেতনায় ও মাথায় পছন ধরেছে বলা যায়। আমরা ঠকানো কে পছন্দ করি। কিন্তু নিজে ঠকতে চাইনা। আসলে,চলে বলে কৌশলে নিজেরাই ঠকছি। পরকে ঠকানো যে কত বড় অন্যায় তা একজন মুসলিম হিসেবে আমরা বুঝে উঠতে পারছি না।
লেখক: শিল্প উদ্যোক্তা