বুধবার, মে ১, ২০২৪
 ঈদে সুখবর পেলেন প্রাথমিকের নতুন ৩৭ হাজার শিক্ষক
ঈদে সুখবর পেলেন প্রাথমিকের নতুন ৩৭ হাজার শিক্ষক

ঈদে সুখবর পেলেন প্রাথমিকের নতুন ৩৭ হাজার শিক্ষক

প্রতিষিদ্ধ ডেস্ক
প্রকাশের সময় : April 10, 2023 | শিক্ষাঙ্গন

সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া প্রাথমিক ও প্রাক প্রাথমিকের ৩৭ হাজার শিক্ষক ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি কর্মে যোগদানের এখনও কোন বেতন-ভাতা পাননি। আড়াই মাসেও বেতন ছাড় করতে না পারলেও ঈদের আগে তাদের বেতনভাতা দেয়া হবে বলে জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১০এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন: শিক্ষকদের দাবির মুখে পরিবর্তন হচ্ছে এমপিও নীতিমালা

ফরিদ বলেন, নতুন যে ৩৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) প্রভিশন অনুযায়ী পিডিবি-৪ এর দুইভাবে বেতন পাওয়ার কথা। ২৬ হাজারের কাছাকাছি যাদের বেতন, তারা পাবেন পিডিবি-৪ প্রকল্প থেকে। আর বাকিদের বেতন দেয়া হবে রাজস্ব থেকে।

‌তিনি বলেন, এভাবে নিয়োগপত্রে ডিপিই দলিল অনুসারে শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। আগে শিক্ষকদের বেতনভাতা আইবাসের মাধ্যমে হতো না, এখন যেহেতু আইবাস প্লাসে গেছে, সে কারণে তারা রাজস্ব খাতের নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক। আর ডিপিইতে বলা আছে, প্রকল্প চলাকালীন প্রকল্প খাত থেকে পাবেন, তারপর রাজস্বতে যাবেন, এতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল‍।

তিনি আরো বলেন, আইবাস প্লাস প্লাসের সঙ্গে এটি খাপ খায়নি। এ কারণে ২৬ হাজার বেতন যাদের, তাদের ক্ষেত্রে একটু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে রোববার আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয় বিশেষ সভা ডেকেছে, গতকাল বিষয়টি নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আমরা উপনীত হয়েছি। এখন আর প্রকল্প থেকে তাদের বেতন দেয়া হবে না। সবাই রাজস্ব খাত থেকে পাবেন। আইবাস প্লাস প্লাসের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এটি করা হয়েছে।

এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ তিন থেকে পাঁচদিন সময় লাগবে। অর্থাৎ ঈদের আগেই সবাই রাজস্ব খাত থেকে বেতন পাবেন শিক্ষকরা।

চলতি বছর দেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সার্কুলারে একবারে প্রায় সাড়ে ৩৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদ অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাড়ানো হয়।

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেয়া হলেও চূড়ান্ত ফলাফল একসঙ্গেই প্রকাশ হয়। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় ৪০ হাজার ৮৬২, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন উত্তীর্ণ হন।

প্রতিষিদ্ধ/এমএ