শরণার্থীরাও চেষ্টা করলে যেকোন জনপদের মাটি ও মানুষের জন্য আশির্বাদ হয়ে উঠতে পারে। সেটি প্রমাণ করে দিয়েছে মাত্র ১৫ বছর বয়সী রোহিঙ্গা কিশোর মোহাম্মদ তাইয়ুব। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের চারপাশ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া জিনিসপত্র দিয়ে একটি ছোট আকারের হাইড্রোলিক এক্সক্যাভেটর মেশিন তৈরি করেছে সে। তার প্রকৌশল দক্ষতা তাকে শরণার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষুদে তারকায় পরিণত করেছে এবং তার এই গল্প বেশ কয়েকটি সংবাদ নিবন্ধে প্রকাশ হয়েছে।
তাইয়ুব জানায়, আমি যখন মিয়ানমারে ছিলাম তখন আমি এই এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে মাটি খুঁড়তে দেখেছি এবং আমার ইচ্ছা ছিলো এরকম একটি খেলনা তৈরি করার। মেশিনটির বিভিন্ন অংশ তৈরির জন্য আমি ফেলে দেয়া লোহা, প্লাস্টিক ও কাঠের টুকরা কুড়িয়ে এনেছি এবং মেশিনের হাতল ওঠা-নামা করানোর হাইড্রোলিক্সের জন্য সিরিঞ্জ ব্যবহার করেছি।
আরো পড়ুন: গ্লাভস শিল্পে বাংলাদেশের বৈশ্বিক মর্যাদা রক্ষায় কাজ করছে ইউনাইচ গ্রুপ
বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে প্রাপ্ত প্রতিভা ও উদ্ভাবনী শক্তির একটি উদাহরণ মাত্র। এবারের বিশ্ব শরণার্থী দিবসে, শরণার্থীদের সহায়তা কার্যক্রম আরো বেগবান হলে মোহাম্মদ তাইয়ুবের মতো রোহিঙ্গা শিশু-কিশোররা আপন প্রতিভার মাধ্যমে নিজের উন্নতি সাধন করতে পারে এবং মানবতার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিরসনে সহায়তা করতে পারে।
প্রতিষিদ্ধ/এএল