প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছর পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা অনুমোদিত হয়েছে। এতে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রাথমিকের শিক্ষকরাও আনন্দিত। এ বিধিমালা হওয়ায় প্রাথমিকে দীর্ঘদিন যে পদোন্নতি জট ছিল তা কিছুটা হলেও নিরসন হবে বলে মনে করেন তারা।
অধিদপ্তরের পরিচালক মহিউদ্দীন আহমেদ তালুকদার মনে করেন, প্রাথমিক শিক্ষায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপযুক্ত কোনো নিয়োগ বিধি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সবপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। বিধিমালা অনুমোদন হওয়ার কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হবে।
আরো দেখুন: স্ত্রীর কিডনীতে জহিরুলের নতুন জীবন
তিনি আরো বলেন, নিয়োগ বিধি না থাকায় দীর্ঘদিন জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এতে অধিদপ্তর ও মাঠপর্যায়ের অফিসে তীব্র জনবল সংকট বিরাজ করছিল। দৈনন্দিন কাজও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। নিয়োগ বিধি পাস হওয়ায় জনবল নিয়োগে আর কোনো বাধা থাকলো না।
নিয়োগ বিধিমালা অনুমোদিত হওয়ায় রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও সচিব ফরিদ আহাম্মদকে শুভেচ্ছা জানান অধিদপ্তরের কর্মীরা।
আরো দেখুন: প্রভাব খাটিয়ে চাঁদপুরে ২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করলেন শিক্ষামন্ত্রী
সরকার ঘোষিত মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে সততা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সদস্যদরা।
এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোশাররফ হোসেন, মোছা. নুরজাহান খাতুন, মো. রাশেদুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইমামুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মির্জা হাসান খসরু, ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল আজিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০২৩ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
আরো দেখুন: রাজস্ব খাতের বৃত্তি পাচ্ছে ২৫ হাজার শিক্ষার্থী
প্রতিষিদ্ধ/ওএফ
