রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
২ সপ্তাহে সয়াবিন তেলেই জনগণ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা 
২ সপ্তাহে সয়াবিন তেলেই জনগণ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা 

২ সপ্তাহে সয়াবিন তেলেই জনগণ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা 

প্রতিষিদ্ধ প্রতিবেদক
প্রকাশের সময় : March 11, 2022 | বাংলাদেশ

দেশের সয়াবিন তেলের বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর । সম্প্রতি ঢাকায় ভোজ্য তেল মিল মালিক এবং ডিলারদের নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায়ের এক বৈঠকে এ তথ্য দেয়া হয়, তেলের দাম বৃদ্ধি এবং সরবরাহের সংকট সৃষ্টির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার ব্যপারেও আশ্বাস দেয়া হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টিম  তেল মিলগুলোতে গিয়ে তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করবে বলেও জানায় তারা। মিল মালিকদের দেয়া ৩ মাসের সরবরাহের তথ্যও যাচাই করে দেখবে।

"প্রতিদিন যদি ৫হাজার টন ভোজ্য তেলে চাহিদা থাকে, তাতে লিটারে ১০ টাকা করে বাড়লে মোট অংকটা অনেক বড় হয়। এভাবে আনুমানিক একটা পরিসংখ্যান বলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

সয়াবিনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার টিসিবির মাধ্যমে কমদামে তেলসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে।। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় তেলসহ পণ্য বিক্রির টিসিবির ট্রাকগুলোকে ঘিরে কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রেতার ভিড় লক্ষণীয়। এমন পরিস্থিতি কারা সৃষ্টি করেছে-তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। তবে কিছু ডিলার এবং অসাধু ব্যবসায়ী মিলে এই সংকট সৃষ্টি করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।


দেশে মাত্র ছয়টি মিল সয়াবিন তেল এবং পামওয়েলসহ ভোজ্য তেল রিফাইন বা পরিশোধন করে দেশের বাজারে সরবরাহ করে থাকে। এই মিলগুলো বড় বড় শিল্প গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেছেন, তাদের বৈঠকে মিল মালিকরা গত তিন মাসের সরবরাহের তথ্য বা তালিকা দিয়েছেন।

সফিকুজ্জামান বলেন, "দেশে বছরে ভোজ্য তেলের চাহিদা ২০ লাখ মেট্রিক টন। সে অনুযায়ী তিন মাসের চাহিদা এক লাখ ৫০ হাজার টনের মতো। মিল মালিকরা যে তথ্য বা তালিকা আমাদের দিয়েছে, তাতে তারা চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের কথা বলেছে।

তবে মিল মালিকদের প্রতিনিধি যারা সরকারের সাথে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে মেঘনা গ্রুপের উপ-উপদেষ্টা মোহাম্মদ শফিউর রহমান বলেছেন, তেল সরবরাহে সংকটের সাথে মিলগুলো জড়িত নয়। তেল নিয়ে একটা জাহাজ একটু দেরিতে এসেছিল।
তিনি বলেন করেন, তারা গত তিন মাসের তেল সরবরাহের যে তথ্য সরকারকে দিয়েছেন, তা সরকার যাচাই করে দেখবে। তাতে তাদের আপত্তি নেই।