শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিরুদ্ধে অপসাংবাদিকতার অভিযোগ হামদর্দের
বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিরুদ্ধে অপসাংবাদিকতার অভিযোগ হামদর্দের

বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিরুদ্ধে অপসাংবাদিকতার অভিযোগ হামদর্দের

প্রতিষিদ্ধ প্রতিবেদক
প্রকাশের সময় : March 22, 2022 | অপরাধ

১৯ ফেব্রুয়ারি , ২০ মার্চ  ও ২১ মার্চের বাংলাদেশ প্রতিদিনের তিনটি সংবাদ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে হামদর্দ।  হামদর্দের দাবি  ব্যক্তিগত অর্থলালসাকে বাস্তবায়িত করতে এ মাধ্যমটিকে ব্যবহারের অপপ্রয়াস করা হচ্ছে । 
হামদর্দের দাবি গত ১ মাসের ব্যবধানে পত্রিকাটি একই রিপোর্ট শুধুমাত্র শিরোনাম পরিবর্তন করে ৩ বার ছেপেছে। একবারও হামদর্দ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেবার কোন ধরনের প্রয়োজন মনে করেনি । অথচ যার বিরুদ্ধে রিপোর্ট হবে, তার বক্তব্য নেওয়া সাংবাদিকতার অপরিহার্য নৈতিকতা।  ক্ষুদ্র ও ভূঁইফোড় বহিরাগত চক্রের ফাঁদে পড়ে অপসাংবাদিকতার চূড়ান্ত উদাহরণ স্থাপন করেছে পত্রিকাটি। প্রথম প্রকাশিত রিপোর্টের প্রতিবাদ পরের দিন পাঠানো হলেও পত্রিকাটি ছেপেছে ১৬ দিন পর। তাও আবার ভেতরের পাতায় ছোট্ট করে ব্যাখ্যা হিসেবে ! 
সংক্ষুব্ধ হামদর্দ এর কোনো ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়া বা বক্তব্য না নেওয়া প্রেস কাউন্সিল আইন-১৯৭৪ অনুযায়ী অর্পিত দায়িত্বের ১ নম্বর বিধির লঙ্ঘন, যা আইনগতভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
প্রথমত: সংবাদ হতে হবে পক্ষপাতহীন ও বস্তুনিষ্ঠ। এক্ষেত্রে সংবাদ একপেশে হবেনা এবং কোন রাজনৈতিক দর্শনে ভারাক্রান্ত হবেনা, সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। তা না হলে নীতিগতভাবে সংবাদটি যথার্থ হবেনা।
দ্বিতীয়ত: যে সংবাদের সাথে বৃহৎ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িত আছে, সেখানে কায়েমী স্বার্থবাদীকে বস্তুনিষ্ঠতা থেকে সরে আসতে প্রভাবিত করবে, তা খুবই স্বাভাবিক। অর্থের বিনিময়ে পক্ষপাতদুষ্ট খবর সরবরাহ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশলকে বলে চেকবুক জার্নালিজম বা পেইড জার্নালিজম বা ইয়েলো জার্নালিজম।
হামদর্দের পরিচালক (তথ্য ও গণসংযোগ) আমিরুল মোমেনীন মানিক বলেন, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর প্লাটফর্ম ব্যবহার করে হামদর্দ এর বিরুদ্ধে যাচাই বাছাই ছাড়াই নিউজ প্রকাশ করে গণমাধ্যমটি উপরোক্ত দুটি নীতিই লঙ্ঘন করেছে । যা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
সংবাদপত্রের একটি স্বাভাবিক কাজ হলো বিভিন্ন সংবাদের প্রতিবাদ ছাপানো। অনেক সময় নানা কারণে সংবাদপত্রে ভুল তথ্য প্রকাশিত হয়। তখন যার সম্পর্কে লেখা তিনি বা তার অফিস প্রতিবাদ করেন। সেই প্রতিবাদপত্রও সংবাদপত্রে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করতে হয়। সংবাদপত্র তথা রিপোর্টারের নিজস্ব বক্তব্য থাকলে প্রতিবাদপত্রের সঙ্গে তা যুক্ত করা যায়। কিন্তু প্রকাশিত রিপোর্টের প্রতিবাদ পাঠানো হলে তা প্রকাশ করতেই হবে। এজন্য কর্তৃপক্ষের অবশ্যই দায়ী। অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করেন, তাহলে সেই কর্তৃপক্ষের শাস্তি হতে পারে।
কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে রাজনৈতিক, আর্থিক, আয়কর বা অন্যান্য বিষয়ে অভিযোগ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হলে সেই অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য অবশ্যই রিপোর্টের সঙ্গে থাকতে হবে। ঐ ব্যক্তির বক্তব্য ছাড়া ঐ সংবাদ প্রকাশ হতে পারে না।