সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
মাছ ও মুরগীর সমন্বিত চাষ করে স্বাবলম্বী লালমোহনের মালেক 
মাছ এবং মুরগীর সমন্বিত চাষ করে স্বাবলম্বী লালমোহনের আব্দুল মালেক 

মাছ ও মুরগীর সমন্বিত চাষ করে স্বাবলম্বী লালমোহনের মালেক 

প্রতিষিদ্ধ প্রতিবেদক
প্রকাশের সময় : March 25, 2022 | কৃষি

মাছ এবং মুরগীর সমন্বিত চাষ করে স্বাবলম্বী দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহনের রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্বচরউমেদ   গ্রামের আব্দুস সহিদের  ছেলে হাজী আব্দুল মালেক । তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত  যে,তিনি নিজেই। বর্তমানে তিনি মাছ চাষের পাশা পাশি লেয়ার  মুরগীর খামার করে অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই সফল । বর্তমানে তিনি সুনামের সহিত আলোড়ন সৃষ্টি কারী সফল ব্যবসায়ী । একই সাথে পুকুরের  পানিতে সমন্বিত মাছ চাষ করছেন তিনি। সরেজমিনে তার সাথে কথা বলে জানা যায়, এক সময় তাদের পরিবারে অনেক অভাব অনটন ছিল । এরপর সেই অভাব দূর করার জন্য নিজ উদ্যোগে ১৯৯০ ইং  সালে মাত্র ১০ হাজার টাকা ক্যাশ  স্থানীয় পুকুর মালীকদের  কাছ থেকে ৫/৭ টি পুকুর লিজ (লগ্নি) নিয়ে রেনু পোনার (মাছের বাচ্ছার)  ব্যবসা শুরু করেন  । অনেক চড়াই উৎরাই লাভ লোকসান পেরিয়ে তিনি নিজ  উদ্যোগে ৪০ শতাংস জমিন ক্রয় করে নিজের জমিতে (লিমা মৎস্য খামার নামক ) মাছের খামার করে মাচের চাষ শুরু করেন, ১৩ একর জমিতে মাছ ও মুরগীর খামার করেছেন । তিনি সমন্বিত মাছ ও লেয়ার মুরগীর চাষ করছেন । ১৩ একর জমিতে ৪টি করে  বিশালাকার মাছ ও মুরগীর খামার রয়েছে ।   খামারে মুরগী হয়েছে প্রায় ৯-১০  হাজার। পাশাপাশি খামারগুলো মাচা দিয়ে  পানির উপর হওয়ায় মুরগীর বিষ্ঠা খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে মাছ চাষে । বর্তমানে তার খামারে ৯/১০ হাজার মুরগি রয়েছে । আবার পুকুরে রয়েছে অর্ধ কোটি টাকার মাছ। ইতোমধ্যে তার খামারে  কর্মসংস্থান করছেন  দৈনিক ২০-২৫ জন   লোক । তাঁর সাফল্যে  অনুপ্রানিত  করেছে তার প্রতিবেশি মো . জাকির মাতাব্বর কে ও  । জাকির মাতাব্বরের রয়েছে মাতাব্বর পল্ট্রী ও মৎস্য নামক খামার । তার ও রয়েছে  মুরগী ও মাছের সমন্বিত চাষ । হাজী  আব্দুল মালেক  বলেন, মুরগী গুলোর গন্ধ কম দৈনিক ৪-৫ হাজার ডিম দিচ্ছেন । মাছ এবং মুরগী মিলিয়ে মাসে প্রায় ২ লক্ষ টাকা আয় ছচ্ছে বলে জানান তিনি।   তবে বর্তমানে মাছ ও মুরগীর খাদ্যের দাম বাড়ার কারনে আয় কমে গিয়েছে তার  । শ্রমিকের বেতন ও বেড়েছে। তিনি বলেন   সরকারিভাবে যদি কোন সহযোগীতা পাই অথবা বিভিন্ন এনজিও থেকে স্বল্প সুদে ঋন পাই তাহলে সব কিছু পুশিয়ে আরও  লাভবান হতে পারব । আব্দুল মালেক আরও বলেন মুরগীর বিষ্ঠার হালকা একটু গন্ধ নাকে আসার আগেই পরিস্কার করা হয়  । তার খামার গুলোতে  নানা জাতের মাছ খলবলিয়ে বেড়াচ্ছেন যা চোখে পরার মতো । বিশেষ করে মাগুর এবং তেলাপিয়া মাছের উৎপাত আনন্দ বয়ে আনে । তিনি জানান, তাঁর খামারে এখন ২০/২৫  জন স্থায়ী কর্মী  দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন ।  কথা হয় মুরগীর ও মাছের  খামারের   কর্মী মিলন , আ: সহিদ ও মনির সহ কয়েকজনের সঙ্গে। তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ মুরগীকে খাবার দিচ্ছেন এবং কেউ কেউ মুরগীর পরিচর্যা করছেন। তাদের মধ্যে মনির  নামে একজন জানিয়েছেন যে, তিনি ৫ বছর ধরে  খামারে কাজ করেন, প্রথমে তার অনেক অভাব ছিল  তারপর থেকে আস্তে আস্তে  তার বেতন ও বাড়তে থাকে। এখন তার পরিবার স্বচ্ছল।

লালমোহন উপজলো প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা   ডা. নাছির উদ্দিন মুন্সির কাছে খামার সম্পর্কে  জানতে চাইলে তিনি   বলেন , এ উপজেলায় আমি নতুন জয়েন্ট হয়েছি কোন খামার সম্পর্কে আমার কাছে কোন তথ্য জানা নেই ।