নিজস্ব প্রতিবেদক
শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ হালাল পানীয় বলে দাবি করে রুহ আফজা প্রতিনিয়ত চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করে যাচ্ছে। কিন্তু এ পনীয়টিতে চিনি ও কৃত্রিম বংয়ের বাইরে কিছুই নেই। ইতোপূর্বে কোন পরীক্ষার মাধ্যমে এটিতে ফল কিংবা উপকারী ভেজষ উপাদানের লেশমাত্র পাওয়া যায়নি। বাজারে ১২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া চিনি সামান্য রং ও পানির মিশ্রণে প্রতি লিটার আমরা কিনে খাচ্ছি ৮০০-১০০০ টাকায়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রুহ আফজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শককে ঘুষ অফার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ সিটির তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। ২০২৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনে ঘুষ দেয়ার চেষ্টার ভিডিও জমা দিয়ে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আবেদন করেন তিনি।
দোষ স্বীকার করে নেয়ার পরও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর এমন রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দ্রুতই আপিল করার কথা জানায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
মনোমুগ্ধকর বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজেদের শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ হালাল পানীয় বলে দাবি করে আসছিল রুহ আফজা। অনুমোদনহীন পণ্য ও মিথ্যা বিজ্ঞাপন প্রচারের অভিযোগে রুহ আফজা ব্র্যান্ডকে ২০১৮ সালে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করে ঢাকার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত-১। রায়ের আগে দোষ স্বীকার করে ক্ষমাও চায় রুহ আফজা। শুধু তাই নয়, এফিডেভিড করে জানিয়ে দেয় এ ধরনের মিথ্যা বিজ্ঞাপন আর দেবে না।
তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ আপিল করে রুহ আফজা। আপিলের পর বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের রায়টি বাতিল করে দেয় আদালত। সেই সঙ্গে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের রুহ আফজাকে জরিমানা করা ৪ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এ রায় খাদ্য আদালতে আসার পর গেল নভেম্বরে দুপক্ষকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। সেখানে খাদ্য অধিদপ্তর সিদ্ধান্ত নেয় আপিল করার। এরপর শুরু হয়, আপিল না করার তদবির।
সেই তদবিরের ভিডিওতে দেখা যায় হামদর্দ কর্মকর্তা আলী আহমেদ একের পর এক অফার দিয়ে যাচ্ছিলেন নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শককে। বিষয়টি নিয়ে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান জানান, দোষ স্বীকারের পর এ ধরনের আপিল করা অনৈতিক।

আল্লাহ কবুল করুন
রুহ আফজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শককে ঘুষ অফার করা হয়েছে